মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় সেশনে দ্রুত ৫ উইকেট হারালে ২২৭ রানেই গুঁটিয়ে যায় টাইগাররা।
ব্যাট হাতে আজ লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমরা হতাশ করলেও দলে ফিরেই বড় ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল হক। সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করেই মাঝারি সংগ্রহ পেয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল শুরু করে টাইগাররা। শান্ত-জাকির দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে প্রথম ঘণ্টায় উইকেট না হারানো স্বাগতিকরা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি। দলীয় ৩৯ রানে উনাদকাটের বলে রাহুলের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হোসেন। আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান এবার ফেরেন মাত্র ১৫ রানে। চার বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (২৪)। সেখান থেকে প্রথম সেশনের বাকি সময় সাকিব-মুমিনুলের ব্যাটে পার করে স্বাগতিকরা।
শান্ত স্বভাবের মুমিনুল থেকে আরেকটি শতক দেখার অপেক্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হল তাকে। ১৫৭ বলে ৮৪ রান করে অশ্বিনের শিকার হন মুমিনুল। এর এক বল পরেই খালেদের বিদায়ে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৭৩.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৭ রান।
তবে লাঞ্চ বিরতিতে সাকিবের মনে কি ছিল তা হয়তো তিনিই জানেন, হয়তো এমন কিছু করবেন তা পরিকল্পনা করেই এসেছেন। বিরতির পর প্রথম বলেই চড়াও হতে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলাফল প্রথম বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। উমেশ যাদবের বলে উড়াতে গিয়ে পূজারার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৯ বলে ১৩ রানে ফেরেন সাকিব। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি।
সাকিবের বিদায়ের পর দলকে টেনে তোলেন মুশফিক ও মুমিনুল। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪৮ রানের জুটি গড়ে উনাদকাটের দ্বিতীয় শিকার হন মুশফিক (২৬)। এর এক ওভার পর উনাদকাটকে দুই চার মেরে ৭৮ বলে মুমিনুল পৌঁছেন ফিফটিতে। ১২ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পান তিনি। যা তার ষোলোতম ফিফটি। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশ হারায় লিটনকে। ঝড় তুলেও ফেরেন ২৬ বলে ২৫ রান করে। তার বিদায়ে ভাঙে ৪২ রানের জুটি।
এক সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে সাবধানী ছিল মিরাজ-মুমিনুল জুটি। ৬৫তম ওভারে মিরাজের চারে দুইশ স্পর্শ করলো বাংলাদেশের রান। তবে প্রথম টেস্টের মত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মিরাজ। তিনি ফেরেন মাত্র ১৫ রান করে। মুমিনুল হকের সঙ্গে ১০৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ।
এরপর মুমিনুলের সঙ্গে মাত্র ৬ রানের জুটি গড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সোহান(৬)। তাসকিন ফেরেন ১ রান করে। ১৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল। ৮৪ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে রিশাভ পান্তের ক্যাচ হন তিনি। তার ১৫৭ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার ও ১ ছয়। এরপর খালেদের বিদায়ে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
Array