নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে নিহত মকবুলের হোসেনের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তারের হাতে প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা তুলে দেন দলের সিনিয়র নেতারা।
নিহত মকবুলের মেয়ে মিথিলা আক্তারকে পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক। মকবুলের একমাত্র মেয়ে মিথিলা আক্তার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিএনপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, নিহত হওয়ার পর মকবুলের পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। এই পরিবারের পাশে থাকবে বিএনপি। মকবুল মিরপুরের পল্লবী থানার ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন, যিনি জুতায় কারচুপির ব্যবসা করে সংসার চালাতেন।
আর্থিক সহযোগীতা প্রদান অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মকবুল ছিলেন খেটে খাওয়া মানুষ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন ওদের (মকবুলের পরিবার) বাড়িতে থাকাও নিরাপদ না। ওদের দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে একটা হত্যা মামলা করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের (মকবুলের পরিবার) প্রতি সহানুভূতিশীল এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মকবুলের জীবন দান আমাদের চলার পথে অনুপ্রেরণা এবং শক্তি জোগাবে। আজ আমরা তার পরিবারকে অনুদান দিয়েছি, তবে এটা এনাফ না। বরং যে গণতন্ত্রের জন্য মকবুল জীবন দিল, সেই গণতন্ত্র যদি আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে বুঝব আমরা শহীদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতে পেরেছি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সে কারণেই আজকে বিজয়ের মাসে আমরা আনন্দ করতে পারছি না। আমরা দেখছি সেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট। তারপর পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতা। আজকে এই সরকার সেই বর্বরতাকে হার মানিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। সুতরাং গণতান্ত্রিক আন্দোলন আমরা গণতান্ত্রিকভাবেই করব এবং অবশ্যই এই সরকারকে বিদায় করব। কোনো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। যুগে যুগে সব ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে শান্তিপ্রিয়, নিরস্ত্র জনগণের হাতে।
অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, আকরামুল হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন কার্যালয় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হয়েছেন মকবুল।
Array