• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • আধুনিক চিকিৎসায় ক্যানসার মুক্ত হলো কিশোরী! 

     বার্তা কক্ষ 
    11th Dec 2022 11:00 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    আধুনিক ও বৈপ্লবিক ধরনের এক চিকিৎসার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ডাক্তাররা এই প্রথমবারের মতো নিরাময়ের অযোগ্য ব্লাড ক্যানসার বা লিউকেমিয়া রোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তারা ব্যবহার করেছেন অত্যাধুনিক সেল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি।

    এই পদ্ধতিতে কোষের জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলো রোগীর দেহের ক্যানসার সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

    এসব কোষ ক্যানসার সেলগুলোকে টার্গেট করে আক্রমণ চালায় ও ভালো কোষের ক্ষতি না করেই সেগুলোকে নির্মূল করে।

    এলিসা নামের এক কিশোরীর দেহে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালিয়ে তার শরীর থেকে ক্যানসার দূর করা হয়েছে। কিন্তু এর আগে তার দেহে লিউকেমিয়ার প্রচলিত সব চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছিল।

    কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ওষুধটি প্রয়োগের পর তার দেহে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে এবং তার দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। এলিসা এখন ক্যানসার থেকে মুক্ত।

    এলিসার বয়স মাত্র ১৩। সবশেষ পরীক্ষায় তার দেহে ক্যানসারের লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    চিকিৎসকরা বলছেন এলিসার দেহে জিনগত পরিবর্তনের যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, তা চিকিৎসা বিজ্ঞানে খুব দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে এবং নানা রোগের চিকিৎসায় এই পদ্ধতির সফল হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর এই পদ্ধতির নাম ‘বেস এডিটিং।

    গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের ডাক্তাররা এই পদ্ধতিতেই এলিসাকে লিউকেমিয়া থেকে সারিয়ে তুলেছেন। ওষুধ প্রয়োগের ছয় মাস পরে দেখা গেছে এলিসার শরীরে ক্যানসার শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

    তবে রোগটি আবারও ফিরে আসে কি না এই আশঙ্কায় তাকে এখনো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

    ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরের মেয়ে এলিসা। বয়স ১৩। গত বছরের মে মাসে তার দেহে টি-সেল একিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া ধরা পড়ে।

    টি-সেল হচ্ছে শরীরের অভিভাবকের মতো। এই সেল শরীরের ভেতরে হুমকি সৃষ্টিকারী উপাদান ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু এলিসার দেহে ক্যানসার সেলগুলো বিপদজনক হয়ে উঠেছিল এবং চলে গিয়েছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

    তার দেহে ক্যানসারের কোষগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। কেমোথেরাপি ও বোন-মেরো ট্রান্সপ্লান্ট করেও সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছিল না।

    এলিসা বলেছেন, আমি হয়তো আসলে মারাই যেতাম। তার মা কিওনা বলেন, গত বছর তিনি ভেবেছিলেন হয়তো মেয়ের সঙ্গে শেষ ক্রিসমাস পালন করতে যাচ্ছেন।

    কিন্তু এরপরে যা ঘটেছে কয়েক বছর আগেও তার সবই ছিল অচিন্তনীয়। জেনেটিকসের অসাধারণ অগ্রগতির কারণেই এলিসার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

    এজন্য গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের ডাক্তাররা যে বেস এডিটিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন সেটি মাত্র ছয় বছর আগে উদ্ভাবন করা হয়েছে।

    এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা জেনেটিক কোডের একটি বিশেষ অংশকে আকারে বড় করেন এবং পরে এর মলিকুলার বা আণবিক গঠনে পরিবর্তন আনেন। এভাবে এর জেনেটিক নির্দেশনা বদলে দেওয়া হয়।

    একজন দাতার কাছ থেকে সুস্থ টি-সেল নিয়ে তাতে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলো এলিসার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যা তার দেহের ক্যানসার সেলগুলোকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।

    টি-সেলের বেস এডিটিং-এর কারণে এসব সেল এলিসার দেহের সুস্থ কোষেরও কোনো ক্ষতি করবে না।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতি সফল হলে দ্বিতীয় বোন-মেরো প্রতিস্থাপনের পর এলিসার দেহের টি-সেলসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনর্গঠিত হবে।

    ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম বলেছেন, এলিসাই প্রথম রোগী যাকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, জেনেটিক মেনিপুলেশন বিজ্ঞানে খুব দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে এবং নানা ধরনের রোগ সারিয়ে তোলার ব্যাপারে এর অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    December 2022
    M T W T F S S
     1234
    567891011
    12131415161718
    19202122232425
    262728293031