ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করবেন সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঋণ মঞ্জুরের চিঠি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
‘কোনো ব্যাংক চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না’ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
রায়ে আদালত বলেন, ব্যাংকের টাকা যেহেতু জনগণের টাকা, সেহেতু জনগণের টাকা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে, তা জানার অধিকার তাদের আছে। রায়ে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতিটি ঋণের বিপরীতে ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করবে।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কী পদ্ধতিতে খেলাপি ঋণ আদায় করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিতে হবে স্যাংশন লেটারে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সকল ঋণ প্রদানে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও আধুনিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করবে এবং নিয়মিত বিরতিতে তা দেখাশোনা করবে।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ব্র্যাক ব্যাংকের একটি চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে রায় দেন, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না। একইসঙ্গে বর্তমানে বিচারিক আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা যাবে।
ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে ২৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
Array