বাঁচা-মরার লড়াই আর্জেন্টিনার। জিতলে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত। ড্র করলে যদি অন্য ম্যাচের ফল আসে পক্ষে, তখনই কেবল সম্ভব। এমন সমীকরণ সামনে রেখে মেসির আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। পুরো প্রথমার্ধেই দেখা গেছে এমন দৃশ্য। লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়া, ইউলিয়ান অ্যালভারেজরা একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন, আর পোলিশ রক্ষণ সেসব সামলেছে দাঁতে দাঁত চেপে।
ভয়চেখ সজেসনির কৃতিত্বও এখানে কম নয়। অনেকটা বলে কয়েই লিওনেল মেসির সে পেনাল্টিটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। সেই পেনাল্টি ছাড়াও পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে তিনি ঠেকিয়েছেন কমপক্ষে আরও তিনটি শট। তাতেই আর্জেন্টিনাকে রুখে দিয়েছে পোল্যান্ড, অন্তত শুরুর ৪৫ মিনিটে তো বটেই!
আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই ত্রাস ছড়িয়েছে পোলিশ রক্ষণে। ৬ আর ১০ মিনিটে মেসির দুটো শট ঠেকিয়ে দেন সজেসনি। তবে আর্জেন্টিনার প্রথম দারুণ সুযোগটা এসেছিল ম্যাচের ২৮ মিনিটে। ইউলিয়ান অ্যালভারেজের দারুণ একটা শট গোলরেখা ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন সজেসনি। ফিরতি চেষ্টায় মার্কোস আকুনইয়া শটটা নেন লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে।
এরপরই সেই পেনাল্টি সেভ। সেটা পেনাল্টি ছিল কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। বাম পাশ থেকে আসা ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড করতে চেয়েছিলেন মেসি, তার হেডের পর তার চোখে হাত লাগে সজেসনির। ভিএআর দেখে এসে পেনাল্টি দেন রেফারি। মেসির নেওয়া স্পটকিকটা বাম পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। সে যাত্রায় গোল আসেনি, প্রথমার্ধেও আর গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। তাতে দুশ্চিন্তাটা বেড়ে চলেছে ক্রমেই।