প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখভুয়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার।
শুক্রবার (১১নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এমনকি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও দুই স্থানে ভোটার হন। চট্টগ্রাম-৪ ফটিকছড়ি এবং চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া দুই আসন থেকে ভোট করার জন্য মনোনয়ন তুলেছিল সে। এরপর তার ডাবল ভোটার হওয়ার তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশনের কর্তকর্তারা এই ঘটনাকে প্রতারণা ও বেআইনি বলে অভিহিত করেন।
আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির প্রথম আলো পত্রিকার এক সংবাদে এই তথ্য জানা যায়। নির্বাচন কমিশনাররা বলেন, ‘একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু তিনি ভোটার হবেন যেকোনো একটি স্থানের। একজন ব্যক্তি দুই জায়গায় ভোটার হতে পারেন না। এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। এটি এক ধরণের প্রতারণা।’
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা এভাবেই অনেকে একাধিক স্থানের ভোটার হয়েছেন এবং ভুয়া নাম-পরিচয় দিয়ে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার তালিকা তৈরি করে তারা। কারণ এই ভোটগুলো দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে কাস্ট করে অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় নেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এজন্য রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে অসাংবিধানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার পদে বসায় তারা। এরপর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য দলীয় সমর্থনপুষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।
Array