বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ওই এলাকায় পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হচ্ছে, এতে দুর্ভোগের মুখে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
যেকোনো কমর্সূচিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলে কমর্সূচি আহ্বানকারী রাজনৈতিক দল যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার চেয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয় বেশি। এতে সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন কিছুটা হলেও কমে। শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ সামনে রেখে পুলিশের একটি শাখার তৈরি করা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সেখানে সুপারিশ করে বলা হয়েছে, সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন ধরে রাখতে ও জনদুর্ভোগ এড়াতে সমাবেশের আগে গণপরিবহন চালু রাখা যেতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গণসমাবেশের সময় পরিবহন বন্ধের কারণে জনদুর্ভোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়েছে, যাতে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে কয়েকটি স্থানে শুরু থেকেই বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে ফরিদপুর বিভাগে গণসমাবেশ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরিদপুরে যেখানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে, কোমরপুরের সেই আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠের ধারণক্ষমতা ২০-২২ হাজার। এ সমাবেশে ২৫ থেকে ৩০ হাজার লোকের সমাগম হতে পারে। বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ মনোমালিন্য থাকায় তাঁরা পৃথক পৃথকভাবে সমাবেশে যোগ দেবেন।
প্রতিবেদনের পযর্বেক্ষণে বলা হয়েছে, বিএনপি গণসমাবেশ করে জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে পুনরায় শক্তি ফিরে পেয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সম্প্রতি গণসমাবেশে আশানুরূপ জনসমাগম হওয়ায় বিএনপি মনে করছে, তাদের জনসমর্থন আগের চেয়ে বাড়ছে এবং সাধারণ জনগণ তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে।
গণপরিবহন বন্ধসহ বিভিন্নভাবে বাধার কারণে বিএনপির বিগত পাঁচটি বিভাগীয় গণসমাবেশে দু-এক দিন আগেই নেতা–কর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। এটা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীতে ঢাকা মহানগরীতেও এ ধরনের বড় কোনো সমাবেশের আয়োজন করলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা দু-এক দিন আগে থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ঢাকা মহানগরীতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Array