আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মহাকাশের সুন্দর ও বিস্ময়কর এক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
লাখ লাখ তারার মধ্যে গ্যাস ও ধূলির বিশাল অবকাঠামোর ওই ছবিটিকে ‘‘পিলারস অব ক্রিয়েশন’’ (সৃষ্টির স্তম্ভ) নাম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এসব ছবি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, পৃথিবী থেকে ৬ হাজার ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে বিশাল ঈগল নেবুলার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল সোনা, তামা ও বাদামী রংয়ের কয়েকটি স্তম্ভের ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব।
এর আগে নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ১৯৯৫ সালে প্রথম এসব স্তম্ভের ছবি তুলেছিল।
যেসব ছবি জেমস ওয়েব ধারণ করেছে, তাতে বেশ কয়েকটি স্তম্ভের শেষে উজ্জ্বল লাল লাভার মতো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। লাভাগুলো তারা থেকে বিচ্ছুরিত হয়েছে এবং এখনও সৃষ্টি হচ্ছে। যার বয়স মাত্র কয়েক লাখ বছর।
নাসা বলেছে, তরুণ তারাগুলো পর্যায়ক্রমে সুপারসনিক জেটের মতো। এর পুরু স্তম্ভগুলো থেকে যেসব পদার্থ নির্গমন হয় সেগুলো মেঘের সঙ্গে সংঘর্ষ করে।
স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের (এসটিএসিআই) বিজ্ঞান প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্লাউস পন্টোপিডান টুইটারে বলেছেন, মানুষের চাহিদার কারণে সৃষ্টির স্তম্ভগুলো আমাদের প্রকাশ করতে হয়েছে। স্তম্ভে শুধু অনেক তারা আছে!
নাসার জ্যোতির্পদার্থবিদ অ্যাম্বার স্ট্রঘন ছবিগুলো দেখে টুইটারে নিজের মত প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন- মহাবিশ্ব সুন্দর!
প্রায় আট আলোকবর্ষের একটি এলাকা জুড়ে নেওয়া ছবিটি জেমস ওয়েব তুলেছিল তার প্রাথমিক ক্যামেরা এআইআর ক্যাম দিয়ে। যেটি ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্য ক্যাপচার করে, যা মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না।
নাসার মতে, নতুন ছবিগুলো গবেষকদের এ অঞ্চলে গ্যাস ও ধূলিকণার পরিমাণসহ নবগঠিত নক্ষত্রের আরও সুনির্দিষ্ট গণনা শনাক্ত ও নক্ষত্র গঠনের মডেলগুলো সংশোধন করতে সহায়তা করবে। প্রতিটি উন্নত যন্ত্র গবেষকদের এ অঞ্চল সম্পর্কে নতুন তথ্যও সংগ্রহ করবে।
Array