এক দশক বা ১০ বছর পর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। যদিও নারী বিশ্বকাপের প্রথমবারের মতো খেলতে আসা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা ছিল অনুমেয়।
তবে নাগির সুলতানা জ্যোতিদের ‘আসল’ লড়াই শুরু হবে শনিবার (৫ অক্টোবর) থেকে। এ দিন শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটিশদের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি এ ম্যাচে বাড়তি আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে বিশ্বাস দলের সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারা আলমের।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডানহাতি এ পেসার। জাহানারা বলেন, ‘এটা (জয়) আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এভাবে শুরু করাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা এখন দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’
টিম কম্বিনেশনের কারণে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হয়নি জাহানারার। তবে দলের সকলে ইংল্যান্ডকে হারাতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি, ‘সবাই ভাবছে ইংল্যান্ড বিশেষ কিছু করবে। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, নির্দিষ্ট একটা দিন আপনারও দিন। আপনি যদি সেই ম্যাচে ভালো করতে পারেন তাহলে কেউ জানে না কী ধরনের ফলাফল হতে পারে। আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে এবং আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করতে প্রত্যয়ী। এবারের বিশ্বকাপে আমাদের দ্বিতীয় জয়ের জন্য মুখিয়ে আছি।’
নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে, ইংলিশদের হারানোর মতো বড় অর্জন সম্ভব বলে জানান জাহানারা, ‘এটা আমাদের জন্য বড় একটা অর্জনও হবে। অবশ্যই, আমরা জয়ের জন্যই খেলব। অবশ্যই, ইংল্যান্ড খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব। তাদের জন্য আমাদের বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে ব্যাপারটা এমন নয়। হ্যাঁ, আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে এবং আমরা সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
শারজার গরম থেকে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা পাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র আবহাওয়া দিয়ে ইংল্যান্ডে বিবেচনা করাটা উপযুক্ত হবে না। এখানে সবাই পেশাদার। আমরা একটি প্রপার গেমের দিকে তাকিয়ে আছি। আপনি যদি ইংল্যান্ডকে হারাতে চান তাহলে কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে পরিকল্পনা করলে হবে না, সবাইকে নিয়েই ভাবতে হবে।’
দলের বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে জাহানারা বলেছেন, ‘আমাদেরও প্রত্যেকের এক হয়ে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। আর আমাদের একটা গুড মোমেন্টাম আছে। আমরা চেষ্টা করবো সেই মোমেন্টাম নিয়েই সামনের দিকে এগোতে এবং এই ম্যাচটা জিততে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের মজাটাই এখানে যে ছোট ছোট মুহূর্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বিশ্বকমঞ্চে এই ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের বড় একটি সুযোগ।
পরিসংখ্যানে এককভাবে ফেভারিট ইংল্যান্ড। এর আগে ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের তিন বিশ্ব আসরে ইংলিশদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।
Array