নিজেস্ব প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বপালন ও টহল দিতে আরও গাড়ি কিনতে চায় বাংলাদেশ পুলিশ। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ২২৬ কোটি টাকা চেয়েছে তারা। শুধু গাড়ি নয়, এরসঙ্গে আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ চেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
এসব বিষয় উল্লেখ করে সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড বাজেট) মো. আতিকুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে নির্বাচনকেন্দ্রীক পরিকল্পনার জন্য ২০২২-২৩ সালের বাজেট বরাদ্দের চেয়ে ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। গাড়ি ছাড়াও অস্ত্র ও গোলাবারুদ, মোটরযান জ্বালানি, গোয়েন্দা, অপারেশনাল ও নিরাপত্তা সামগ্রী চেয়েছে তারা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনের পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীর যে সকল দাঙ্গা দমন সামগ্রী ও অপারেশনেল সামগ্রী রয়েছে তা নিতান্তই অপ্রতুল। দাঙ্গা-দমন সামগ্রী ও অপারেশনাল সামগ্রী বাংলাদেশ পুলিশে সংযুক্ত না হলে আগামী নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দুরূহ হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় দাঙ্গা দমন সামগ্রী ও অপারেশনাল সামগ্রী পুলিশে সংযুক্ত না হলে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে।
চিঠিতে গাড়ি ছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার জন্য ১৫৮ কোটি ৭ লাখ, নিরাপত্তা সামগ্রী কিনতে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ, তথ্য প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি ১২ কোটি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক ৪৪ লাখ, কম্পিউটার সফটওয়্যার কেনার জন্য ৭ কোটি, পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট কেনার জন্য ২০৪ কোটি ৮০ লাখ এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কিনতে ৫৪০ কোটি টাকাসহ মোট ১২২৫ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬১০ টাকা চেয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুলিশের ৮০ শতাংশ সদস্য নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালন করেছে। ২০২৩/২৪ এর নির্বাচনেও প্রায় একই সংখ্যক পুলিশ এসব কাজে ব্যস্ত থাকবে। নির্বাচনের সময়টাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল থাকে। তাই এই অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এবিষয়ে আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা মেনে লিখিতভাবে বরাদ্দের দাবি করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠির ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Array