বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় মিল গেট থেকে খুচরা বাজারে চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় করতোয়া সম্মেলন কক্ষে অটোমেটিক হাস্কিং চালকলের মালিক, আমদানিকারক ও পাইকারি আড়তদার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ মূল্য নির্ধারণ হয়।
ধান-চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই সিদ্ধান্ত জানান জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মিল পর্যায়ে জিরা চিকন চাল ও মিনিকেট চালের মূল্য ৬২ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৬৩ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৬৫ টাকা প্রতি কেজি নির্ধারণ করা হয়। স্বর্ণা চাল মিল পর্যায়ে প্রতি কেজি ৪৬ টাকা, পাইকারি ৪৭ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া আটাশ ও উনপঞ্চাশ চাল মিল পর্যায়ে ৫২ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৫৩ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৫৫ টাকা দরে বিক্রির জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়ায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত মনিটরিং চলছে। কোনো অবস্থাতেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। বগুড়ায় ধান-চালের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা খবরের শিরোনাম হতে চাই না। সরকারকে কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতে চাইলে তাদের কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। নীতিমালা অনুযায়ী সব কিছু বলে দেওয়া হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনায় আমরা চলব।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন অটোমেটিক হাস্কিং চালকলের মালিক, আমদানিকারক ও পাইকারি আড়তদাররা উপস্থিত ছিলেন।
Array