জেলা প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান সহ জামানত হারালেন ৫ সংসদ সদস্য প্রার্থী। ২০১৮ সালের একাদ্বদশ সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে ও নিখোজঁ বিএনপি নেতা এম.ইলিয়াস আলীর পরিবারের সমর্থন নিয়ে ‘গনফোরাম থেকে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে প্রার্থী হয়ে মোকাব্বির খান প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।
এবার নিজ দলের উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছেন তিনি । তিনিসহ এ আসনে পাঁচ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম দ্বিতীয়বারের মতো জামানত হারালেন সাবেক সাংসদ ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরী। জাতীয় নিবাচনী আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্রাপ্ত হয়।
সিলেট-২ আসনে স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্তিতা করেন ৭জন প্রার্থী। তার মধ্যে সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকার প্রাথী শফিকুর রহমান চৌধুরী ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান ট্রাক প্রতীকে ১৬ হাজার ৬৬১ ভোট পান। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট-২ আসনের দুই উপজেলা ‘বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭২৯ জন ভোটারের মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্রে ১লক্ষ ৬ হাজার ৮৪৭ জন ভোট প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বর্তমান সাংসদ গনফোরামের নেতা মোকাব্বির খান সূর্য প্রতীকে ১৯২২ ভোট, জাতীয়পাটির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া লাঙ্গল প্রতীকে ৬ হাজার ৮৭৪ ভোট, তৃণমূল বিএনপির আব্দুর মল্লিক সোনালী আঁশ প্রতীকে ৯৪৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির ডাব প্রতীকে ১৮৫ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মো. মনোয়ার হোসাইন আম প্রতীকে নিয়ে ২৫৩ ভোট পান।
নির্বাচনী আইন অনুয়ায়ী সিলেট-২ আসনে প্রদত্ত এক লাখ ৬ হাজার ৮৪৭ ভোটের মধ্যে ৮ শতাংশ ১৩ হাজার ৩৫৫ ভোট না পাওয়ায় এই পাঁচ প্রার্থী তাদের জামানত হারালেন।
জিতু আহমদ/ আজকালের বার্তা
Array