শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ডামুড্যা সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রেখে ইউনিলিভার কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ডামুড্যা উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ডামুড্যা সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের নিয়ে ২ ঘণ্টাব্যাপী এই বিজ্ঞাপনী অনুষ্ঠান চলতে থাকে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডামুড্যা উপজেলার সরকারি ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদের অনুমতিক্রমে ইউনিলিভারের বিক্রয় প্রতিনিধিরা চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় প্রায় ১০০ জন ছাত্রীদের নিয়ে তাদের কোম্পানির ফেইস ওয়াশ, ক্রিম ও সাবানের চটকদারি বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যস্ত। তারা তাদের কোম্পানির ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রয়োজনীয় উপাদান নিয়ে টেবিল সাজিয়ে এসবের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে তারা আলোচনা বন্ধ করে দেন। স্কুল বন্ধ করে কেন এখানে এ ধরনের অনুষ্ঠান চলছে- উত্তরে জানায়, এ ধরনের অনুষ্ঠান আমরা প্রায়ই করি, তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমাদের অনুমতি দেন।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান শুরু হলেও আমাদের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ স্যার আমাদের বলেন, তোমরা নতুন ভবনের তিন তলার রুমে চলে যাও। স্যারের কথায় রুমে এসে দেখি ইউনিলিভার কোম্পানির পন্ডস ফেসওয়াশ ও ক্রিমের বিজ্ঞাপন চলছে। আমরা স্কুলে এসেছি পড়াশোনা করতে, আমরা বিজ্ঞাপন দেখতে আসিনি।

পাঠদান বন্ধ রেখে শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞাপন দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খান জানান, কোনো বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো আইন পরিপন্থি। এ ধরনের কাজ যদি কোনো বিদ্যালয়ে হয়ে থাকে তাহলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান বলেন, ‌‘এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান বন্ধ রেখে বিদ্যালয়ের ভেতরে ইউনিলিভারের বিজ্ঞাপন দেখানো মোটেও শোভন নয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মি.শি/ এফ.এ/ আ.বা