রাজশাহী ব্যুরো প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই দাবি পুলিশের।
কিন্তু এজাহারভুক্ত আসামিরা নিয়মিতই অফিস করছেন। এরইমধ্যে এক আসামি পেয়েছেন পদোন্নতি।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলার আসামি সেলিম রেজা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিএমডিএ’র সচিব শরীফ আহমেদ সই করা পদোন্নতির আদেশে তার নাম পাওয়া গেছে। পদোন্নতি তালিকার ১৪ নম্বরে নাম রয়েছে রেজার।
জানা গেছে, বিএমডিএর সদর দপ্তরের অফিস সহায়ক থেকে তাকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া সাংবাদিক পেটানোর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রেজাকে। বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদের দপ্তরের অফিস সহায়ক ছিলেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ’র সচিব শরীফ আহমেদ বলেন, সচিব তো শুধু অফিস আদেশে স্বাক্ষর করে। সিদ্ধান্ত আগেই হয়। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন শরীফ। তবে, বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে কোনো কথাই বলতে চাননি।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএমডিএ কার্যালয়ে হামলার শিকার হন এটিএন নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরা পারসন রুবেল ইসলাম। সরকার নির্ধারিত নতুন সময় অনুযায়ী বিএমডিএ কর্মকর্তারা অফিসে আসেন না, এমন দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ) করার সময় সাংবাদিকরা হামলার শিকার হন। নির্বাহী পরিচালকের নির্দেশে কর্মচারীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় দুই সাংবাদিককে মারধর করা হয় এবং ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনায় বিএমডিএ’র দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরে রাতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন এটিএন নিউজের সাংবাদিক বুলবুল হাবিব। এরপর পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুজনকে গ্রেফতার করলেও অন্যরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন রাজশাহীর সাংবাদিকরা।
আজকালের বার্তা/ এফ.জে ওমর
Array