জাবি সংবাদদাতা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি: বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন ও ‘আলাপন’র সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (জেইউডিএস) আয়োজনে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ক ‘সম্পূরক আলাপ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সংগঠনটির আয়োজনে এই সম্পূরক আলাপের তৃতীয় সিজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানান অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

আলোচনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলম বলেন, উপাচার্য হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনের আয়োজন করেছি। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর জাকসু নির্বাচন আয়োজন করার চেষ্টা করবো। পাড়াশোনার পাশাপাশি সুস্থ রাজনীতি করার জন্যও তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব সময় লেখাপড়ার দিকে মনযোগী হতে হবে। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি লেখাপড়াও সঠিকভাবে চালিয়ে নিতে হবে। তাদের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ছাত্র রাজনীতির জন্য লেখাপড়ার কোন ক্ষতি না হয়।

নারী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের নারীরা সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও অধিকাংশ বিভাগের ফলাফলে নারী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে। আমি উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যতজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছি, তারমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নারী।’

অনুষ্ঠানে যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রওনক জাহান, “সেইভ দ্যা চিল্ড্রেন ” এর হেড অব মিডিয়া নুসরাত আমিন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের একাংশের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো।

বর্তমান ছাত্ররাজনীতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, “১৯৪৭ থেকে প্রতিটি আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতারা পথ দেখিয়েছেন।তারপর অন্যান্য নেতারা সেভাবে তাদের দেখানো পথে চলেছেন। ১৯৭১ এ যে ছাত্র কাধে স্টেনগান নিয়ে যুদ্ধ করেছে তার সাথে ২০২২-২৩ সালের ছাত্ররাজনীতির ফিলিংস টা নেই। তবে ছাত্ররাজনীতি বর্তমানে যেভাবে থাকার কথা ছিলো সেটি পুরোপুরি না থাকলেও কিছুটা আছে।”

এ সময় অন্যন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ প্রমুখ।