ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কালো ডিম পাড়া সেই হাঁসটি বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার হাঁসটি কালো ডিম দিলেও গতকাল শুক্রবার থেকে ডিম পাড়া বন্ধ রয়েছে। আজ শনিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ওই হাঁসের মালিক মো. আব্দুল মতিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জিন্নাগড় ৪নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল মন্নান বাড়ির মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পালিত একটি হাঁস এ অস্বাভাবিক কালো ডিম দেয়। বুধবার সকালে তাসলিমা বেগম হাঁসের খোয়ার থেকে হাস ছাড়তে গেলে এ কালো ডিম দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যান।পরে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানালে মুহূর্তের মধ্যে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ডিমটি দেখতে এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।
হাসটির মালিক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমার স্ত্রী তাসলিমা বেগম ১১টি দেশি হাঁস পালন করে। এর মধ্যে আট মাস বয়সী একটি হাঁস এই প্রথম ডিম দেয়। গত বুধবার সকালে বাড়ির খোয়ার থেকে হাঁস ছাড়তে গিয়ে কালো রঙের ডিম দেখতে পাই। এ ঘটনা পরদিন বৃহস্পতিবারও ঘটেছে। দুই দিনে দুটি ডিম দেওয়ার পর গতকাল শুক্রবার ডিম দেয়নি হাঁসটি। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন হাঁসটি ও তার ডিম দেখতে আসছে। বারবার হাসটিকে খোয়ার থেকে ধরে সবাইকে দেখানোর কারণে হাঁসটি অসুস্থ হয়ে গেছে। হয়তো এ কারণে ডিম দেওয়া বন্ধ করেছে।’
চরফ্যাশন উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার হাঁসের কালো ডিম দেওয়ার বিষয়টি জানার পর আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি। বৃহস্পতিবার আরও একটি কালো ডিম দিয়েছে হাঁসটি। তবে সেটি প্রথম দিনের তুলনায় কালো কিছুটা কম। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আরও এক সপ্তাহ দেখার পর এ ডিমগুলো ঢাকায় প্রাণিসম্পদের পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।’
এছাড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমার জানামতে হাঁস এ ধরনের কালো ডিম এই প্রথম দিয়েছে। জিংডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়, কিন্তু কোনো হাঁস কালো ডিম দিয়েছে বলে কখনো শুনিনি ও দেখিনি। তবে ভারতীয় গ্রিডের কেদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগি কালো ডিম দেয়। সেই জাতীয় হাঁসের মাংসও কালো হয়। হাঁসটি যদি ধারাবাহিকভাবে কালো ডিম দিতে থাকে, তাহলে সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠালে মূল কারণ জানা যাবে।’
Array