পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যয় আবারও বাড়ছে। এ দফায় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩০১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অতিরিক্ত সচিব জানান, ‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ আরমজ ইন অ্যাসোসিয়েশন ইউথ বিআরটিসি, বুয়েট’র সঙ্গে চুক্তি ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত বাড়াতে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৩০১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে পদ্মাসেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহনের সঙ্গে একই দিন রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু রেললাইন বসানোসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এখনো পিছিয়ে আছে।
এদিকে পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছে সরকারের সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের। এ লক্ষ্যে ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানোর পাশাপাশি স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি (সরকারি পর্যায়ে) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।
বুধবার (৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে। পরে বাস্তবায়ন মেয়াদের সঙ্গে ব্যয় বেড়ে খরচ দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকায়।
Array