ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে পিস্তল হাতে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এক মৎস্যজীবী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আসাদুজ্জামান ওরফে পরশ সিকদার (৩৫) নামের এই নেতা জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আবদুস সোবহান ও সদস্যসচিব ফরিদ মিয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আসাদুজ্জামান বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে গত ২৫ মার্চ বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভ্রদেব সিং ওরফে সুদেব ব্যক্তিগত আইডিতে ডান কোমরে একটি কালো রঙের পিস্তলসদৃশ্য বস্তু গোঁজা ছবি পোস্ট করেছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ মার্চ তাঁকে আটক করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।
৯ এপ্রিল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে করা একটি টিকটক ভিডিও শেয়ার করেন বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বিল্লাল মৃধা (২৫)। এ ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হলে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে জেলা ছাত্রলীগ পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুভ্রদেব সিং ও বিল্লাল মৃধাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
গতকাল জেলা মৎস্যজীবী লীগের নোটিশে বলা হয়, আছাদুজ্জামান পরশ সিকদারের আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি ছবি ইতিমধ্যে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রম। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই তাঁকে সংগঠনের কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হলো।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা মৎস্যজীবী লীগের ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগ। এতে আবদুস সোবাহানকে আহ্বায়ক ও মো. ফরিদ মিয়াকে সদস্যসচিব করা হয়। এ কমিটির এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন আসাদুজ্জামান।
গতকাল বেলা একটার দিকে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের ফেসবুক আইডিতে অস্ত্র হাতে ধরা আসাদুজ্জামানের দুটি ছবি আপলোড করা হয়। এরপর ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল ওয়াহাব বলেন, ফেসবুকে পোস্ট কার ছবি দুটি দেখেছেন। কে কী উদ্দেশ্যে ছবিটি ভাইরাল করল, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Array