বিভিন্ন কর্মকান্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদারীপুর জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সদস্য সচিব সাবরীন জেরীন। সাংবাদিক পরিচয়ে ঢাকায় বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের ফেসেবুকের বন্ধু তালিকায় যোগ করে ধীরে ধীরে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে টাকা-পয়সাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে থাকেন। এসবের বিনিময়ে তাদেরকে দেহ বিলিয়ে দেন। এমন কিছু কথোপথনের স্কিনসট ছবি ও ভিডিও আজকালের বার্তার হাতে এসেছে।
গত কয়েক দিন আগে তার উলঙ্গ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর স্বইচ্ছায় তাদের বাড়িতেই নজর বন্দি হয়েছে জেরীন। সে মাদারীপুর পৌরসভার হারুণ সড়কের বসবাসকারী সাংবাদিক মামুনের স্ত্রী এবং কালকিনি উপজেলার রামনগর গ্রামের রহিম সরদারের বড় মেয়ে।
স্বদেশ চিত্র নামে একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রায় ১৩ বছর আগে ৯ম শ্রেণীতে থাকাকালীন কিশোরী জেরীনকে বিয়ে করে বিদেশ ফেরত মাদারীপুর পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল-মামুন। জেরীনের বয়সের তুলনায় মামুনের বয়স প্রায় দ্বিগুন হলেও জেরীনের বাবা-মা বিদেশ ফেরত ছেলের টাকা পয়সা দেখে মামুনের হাতে তুলে দেয় জেরীনকে। চলতে থাকে দুজনের সুখের সংসার। এরপর তাদের সংসারে আসে একটি ফটফুটে মেয়ে সন্তান। তার দুবছর যেতে না যেতেই জেরীন আসক্ত হয়ে পরে পরকিয়া প্রেমে। সে প্রেম টিকেনি বেশীদিন, একদিন তার বাবার বাড়ি থেকে মাদারীপুর তার স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে একান্ত সময় কাটাতে গিয়ে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের এক রুমে পেয়ে এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা তাদেও আটকে রাখে। এরপর জেরীনের বাড়ি অর্থাৎ রামনগরে খবর পাঠলে তার বাবা-মা ভাই লজ্জায় নিতে না আসায় তার স্বামী মামুন মাদারীপুর থেকে একজনকে সাথে নিয়ে জেরীনকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে আবার সংসার শুরু করে। এতে আবারো অসামাজিক কর্মকান্ডের সুযোগ পেয়ে যায় জেরীন।
আরো জানা গেছে, এর আগেও ছিল জেরীনের আগের সংসার, কিন্তু তার আগের স্বামীর নাম ও সংসার ভাঙার কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
আর অপকর্ম করবেনা এমন মুচলেকায় মামুন তাকে লেখাপড়া করে বিসিএস ক্যাডার বানানোর স্বপ্ন দেখে। জেরীনকে এমএ পাশ করিয়ে কয়েকবার বিসিএস পরীক্ষা দেয়ালেও বিসিএসের স্বপ্ন আজও সত্যি হয়নি। তার পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রী বেছে নেয় সাংবাদিকতা। দুজনে সাংবাদিকতা করতে করতে জেরীন আবারো জড়িয়ে পরে পরকিয়া প্রেমে। ভিডিও কলে নিজের খোলামেলা দেহ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আদায় করে নেয় স্বার্থ। স্বার্থ শেষ হলে ময়লার ডাস্টবিনের মত ছুড়ে ফেলে দেয় নরদোমায়।
#বিজ্ঞাপন ব্যবসায় আরো বেপরোয়া
মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সিংহভাগ বিজ্ঞাপন হাতিয়ে নেন সাবরীন জেরীন। অথচ সে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর কোন পত্রিকার সাংবাদিক নন। তার সাংবাদিকতার বয়স মাত্র ৩ থেকে ৪ বছর। নারী-পুরুষ মিলে জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক প্রবীণ, পেশাদার সিনিয়র-জুনিয়র সাংবাদিক থাকতেও এত অল্প সময়ে তার এত জনপ্রিয়তা কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে জানা যায়, জেরীনের স্বামী মামুন ও জেরীন তারা দুজন আলাদা থাকার সুবাদে রাতে ভিডিও কলে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের প্রধানের ইচ্ছে পূরন করে অনায়াসেই হাতিয়ে নেন সরকারি বিজ্ঞাপন। শুধু জেলার বিজ্ঞাপন না, একই পন্থায় সে জেলার বাহির থেকেও অনেক বিজ্ঞাপন হাতিয়ে নেয় সে। তার ফেসবুক প্রোফাইলের ফ্রেন্ড লিষ্ট ঘাটলেই দেখা যাবে ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারক র্যাবের কমান্ডার, সচিবসহ বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। এমনকি মামুনকে (তার সাথে কৌশলে সম্পর্ক করিয়ে) বোকা বানিয়ে জেরীন তার বাসায় অনা নেয়া করত এসব কর্মকর্তাদের। আর এটাই তার প্রধান ব্যবসা। এর কারণ হিসেবেই দেখায় গেছে, জেরীন যতই অঘটন ঘটিয়েছে মামুন স্বামী হয়েও তাকে মাফ করে দিয়েছে। জেলার কোন কোন সাংবাদিক এটা অকপটেই স্বীকার করে বলেন, হ্যা এটাই ওর প্রধান ব্যবসা, মামুন সহজ সরল হওয়ায় জেরীন এসব করার সুযোগ পায়। তার যায়গায় আমি থাকলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এখানেই শেষ হয়ে যেত।
#এমপি হতে মরিয়া জেরীন
জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে মাদারীপুর জেলায় বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও শিল্পপতি মুহিদ হাওলাদার। তাকে টপকে নির্বাচনে অংশ নিতে চান জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সদস্য সচিব সাবরীন জেরীন। আর তারই ধারাবাহিকতায় মুহিদ হাওলাদারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে জাতীয় পার্টির সমস্ত প্রোগ্রামে উপস্থিত হয় সাবরীন জেরীন। গোপন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবে সে।