চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ-মহদিপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১৬ই মার্চ) দুপুরে সোনামসজিদ জিরো পয়েন্টে ফিতা কেটে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,দি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান, সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন, মহদিপুর স্থলবন্দরের কাস্টমসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ইসমাইল হোসেনসহ আরো অনেকে।
এরপর দি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে ২৫ জন ব্যবসায়ী ভারতে যান।
মেসবাউল হক বায়োজিতসহ কয়েকজন পাসপোর্টধারি যাত্রী বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে গমসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করি থাকি। ফলে মাঝে মধ্যে ব্যবসায়িক কাজে ভারতে যেতে হয়। কিন্তু সোনামসজিদ-মহদিপুর স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ থাকায় বেনাপোল দিয়ে ভারতে যেতে হতো। এতে ভোগান্তির শেষ ছিল না। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ করোনা সতর্কতায় সারাদেশের সাথে সাথে বন্ধ হয় সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম।প্রায় সকল সীমান্তের স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চালু হলেও দীর্ঘদিন চালু হয়নি সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম।
বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর তৎপরতা শুরু হয়।
অবশেষে নানা জটিলতা কাটিয়ে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করা হলো। এতে বৃহত্তর রাজশাহীসহ আশেপাশের জেলার মানুষদের অনেকটায় ভোগান্তির নিরশন হলো বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা।
Array