দুঃখ-কষ্ট পিছু ছাড়ছে না যেন বৃদ্ধ শামসুদ্দীনের। কাঠখড় পুড়িয়ে দুই ছেলেকে বড় করেছেন তিনি। উপার্জনও করছেন তারা। এখন ইবাদত-বন্দেগি করে সময় কাটানোর কথা ছিল শামসুদ্দীনের। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস তার একসাথে চলে গেলো দুই ছেলে।
বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামে জানাজা শেষে তাদের মরদেহ দাফন করা সম্পন্ন হয়েছে।
মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কাভার্ডভ্যান চাপায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে ২ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৪জন নিহত হন।
নিহতরা – মিরসরাই উপজেলার রায়পুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে মেহেদী হাসান , মিরসরাই সদর গড়িয়াইশ গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে সুমন ও শেখ ফরিদ এবং পূর্ব রায়পুর এলাকার আবুল কাশেম।
আহতরা – জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এএসআই মো. মোস্তফা ও কনস্টেবল আব্দুল আউয়াল , স্থানীয় বাসিন্দা রফিক , শেখ আহম্মদ । অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে এএসআই মোস্তফার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
পুলিশ এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় ফিলিং স্টেশন থেকে বাহির হওয়ার পর একটি লরিকে চট্টগ্রামগামী জোনাকি পরিবহনের একটি বাস জোরালোবাবে ধাক্কা দেয়। হাইওয়ে পুলিশ এসে সেখানে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তখন সাথে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় সিএনজিচালকরাও ছিলেন।
এমন সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ডভ্যান দাঁড়িয়ে থাকা সবাইকে চাপা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রদান করা হয়েছে বলে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. পলাশ কুমার দে নিশ্চিত করেছেন।
Array