রাজধানীর মগবাজারে ওয়্যারলেস মোড়ে সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য স্প্লিন্টার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর রশীদ।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
হারুন-অর রশীদ বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্যটি ময়লা একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে ছিল। ভেতর থেকে ময়লা বের করার সময় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে স্প্লিন্টারও পাওয়া গেছে। কী উদ্দেশ্যে ওই বিস্ফোরক এখানে রাখা হয়েছিলো আমরা সেটা বের করার জন্য কাজ করছি। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছিল, তারা স্প্লিন্টারগুলো আলামত হিসেবে নিয়ে গেছে।
প্লাস্টিকের ড্রামটিতে বোমা ছিলা কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ময়লার ড্রামটিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং ঘটনাস্থলে অসংখ্য স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে। এই বিস্ফোরণে চার জন মানুষও আহত হয়েছেন। একটা স্কুলের সামনে এটা কেন রাখা হয়েছিল সেটা আমরা বের করার চেষ্টা করছি।
আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে দিকে ওয়্যারলেস মোড়ে সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ৩-৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিস্ফোরণের পর ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) আসাদুজ্জামান জানান, ড্রাম থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ফেলে দেওয়ার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজন পথচারী। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসে ও আলামত সংগ্রহ করে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, আগে থেকেই ড্রামের ভেতরে যে কেউ বিস্ফোরকটি রেখে দিয়েছিল। অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়ার কারণে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরকটি কে রেখেছিল বা কীভাবে এখানে এসেছে সেটা উদঘাটনের জন্য কাজ করছি।
এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিলেন, আমরা এমন কোনো বিষয়ে সন্দেহ করছি না। তবে প্রাথমিকভাবে সব বিষয়কে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।
Array