স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার যেহেতু বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়নি, সেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল- তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলো কি না?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের উক্তিটিই করেছি। অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি, তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদের কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম এবং কোন দিন কী হয়েছে বিস্তারিত তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদের করেননি। ’
‘তিনি (মিশেল ব্যাচেলেট) সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করে তার মতামত দিয়েছেন। তিনি তার বিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না, বরং খুব সযত্নে দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সে কথাই তিনি বারবার বলেছেন।’
এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কাছে বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলো কি না? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, তারা (বিএনপি) একটা অবস্থা সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে, যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি।’
‘ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।’
হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইনার হুইল ক্লাব।
Array