আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিবিএস অডিটোরিয়ামে ‘কৃষি শুমারি ২০১৯’ এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুমারির প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এক বছরে কৃষকের গরুর সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ লাখ। ২০১৮ সালে সারা দেশের পল্লী ও শহর এলাকায় গরু ছিল দুই কোটি ৫৬ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় দুই কোটি ৯৪ লাখে।
একইভাবে ২০১৮ সালে ছাগলের সংখ্যা ছিল এক কোটি ৬৩ লাখ, যা ২০১৯ সালে হয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখে। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল শুমারির কাজ পরিচালনা করা হয়।
শুমারিতে দেখা গেছে, এক বছরে হাস মুরগির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ কোটি। ২০১৮ সালে হাস-মুরগির সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ। এক বছরে মহিষের সংখ্যা ৯৫ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬টিতে। ২০১৯ সালের শুমারি অনুযায়ী, খানার সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। কৃষি খানা ১ কোটি ৬৮ লাখ, কৃষি মজুর খানা ৯২ হাজার। আর মৎস্যজীবী খানার সংখ্যা ১২ লাখ।
অনুষ্ঠানে জরিপের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, দেশে সাধারণ খানার সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষি খানা সে হারে বাড়েনি। দেশে নিট আবাদি জমির পরিমাণ এক কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর, যার মধ্যে নিট অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর এবং স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর।
শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।