(এনজিও) নারীরা কাজ করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে তালেবান সরকার। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, এমন সিদ্ধান্তের ফলে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আফগানিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব বলেছেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারীরা এনজিওতে কাজ করতে পারবেন না। কারণ, অনেক নারী ইসলামি রীতি অনুযায়ী পোশাক পরে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন টুইটারে লিখেছেন, এমন পদক্ষেপে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশ্বব্যাপী মানবিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নারীরা৷ এ সিদ্ধান্ত বিধ্বংসী হতে পারে৷
এদিকে আফগানিস্তানে কয়েকদিন আগেই নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশটিতে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়।
আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
বিবিসি জানিয়েছে, তিন মাস আগে আফগানিস্তানজুড়ে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
গত বছর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষ ও প্রবেশপথ চালু করে তালেবান। সেই সঙ্গে তাদের পাঠদানে নারী অথবা বৃদ্ধ শিক্ষকদের নিয়োজিত করা হয়। এ ছাড়া নারীদের জন্য কয়েকটি বিষয়ে পড়াশোনার ওপর বিধিনিষেধও জারি করে তারা।
তালেবান ক্ষমতায় যাওয়ার পরই আফগানিস্তানের শিক্ষা খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। গত বছর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের পর প্রশিক্ষিত শিক্ষাবিদদের অনেকেই দেশত্যাগ করেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষক বেতন থেকে বঞ্চিত হতে থাকেন।
Array