রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান চায় তার দেশ। আর সব সশস্ত্র সংঘাতই কূটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরদিন বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) পুতিন এই মন্তব্য করলেন।
গত বুধবারের জেলেনস্কির সেই ওয়াশিংটন সফরের সময় কিয়েভকে সহায়তা অব্যাহত ও অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আমি বহুবার বলেছি, বৈরিতা বেড়ে গেলে তা অহেতুক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে।’
তিনি বলেন, ‘সামরিক সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়, বরং এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো (আমাদের লক্ষ্য)। আমরা এই যুদ্ধের অবসানের জন্য চেষ্টা করব এবং তা অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি হয় তত ভালো।’
রাশিয়া লাগাতার বলে আসছে তারা আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছে। কিন্তু ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান। তাদের ধারণা, ইউক্রেনে ১০ মাসের যুদ্ধে কয়েকদফায় পরাজয় ও পিছু হটার পর রাশিয়া আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করতে চাইছে।
রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। আর কিয়েভ বলছে, রাশিয়াকে হামলা বন্ধ করতে হবে এবং তাদের ভূখন্ড ছেড়ে দিতে হবে।
পুতিন বলেছেন, ‘সব সংঘাতই কূটনৈতিক পথে কোনো ধরনের আলোচনার মধ্য দিয়ে একভাবে নয়ত অন্যভাবে শেষ হয়। সংঘাতে জড়িত কোনো পক্ষ তাড়াতাড়ি অথবা দেরিতে আলোচনায় বসে এবং কোনো চুক্তি করে। আমাদের বরোধিতা যারা করছে তাদের একথা যত দ্রুত উপলব্ধিতে আসবে ততই ভাল। আমরা কখনোই এ ব্যাপারে হাল ছেড়ে দেব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘প্যাট্রিয়ট আকাশ সুরক্ষা’ ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য যে চুক্তি করেছেন, তার গুরুত্বকে খাটো করে দেখানোর প্রয়াস নিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
রাশিয়া এই সুরক্ষা ব্যবস্থা মোকাবিলার পথ খুঁজে নেবে বলে জানিয়ে পুতিন বলেন, এই ব্যবস্থা অতিশয় পুরোনো। এটি রাশিয়ার এস-৩০০ ব্যবস্থার মতো কাজ করে না।
তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে। আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নেব এবং এর পাল্টা ব্যবস্থা সবসময়ই খুঁজে পাওয়া যাবে।’
Array