জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে যুক্তরাজ্যের হাজার হাজার নারী যৌনকর্মে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। গত শনিবার স্কাই নিউজকে এমন সর্তক বার্তা দিলেন আউটরিচ কর্মীরা। রোববার এ বিষয়ে তথ্য জানিয়েছে ইভিনিং স্টার্ন্ডাড এবং রুশ বার্তা সংস্থা আরটি।
যৌনকর্মীদের একটি তৃণমূল সংগঠন দ্য ইংলিশ কালেক্টিভ অফ প্রস্টিটিউটস, স্কাই নিউজকে জানায়, এই গ্রীষ্মে তাদের হেল্পলাইনে সাহায্য সংক্রান্ত কলের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ হারে বেশি হয়েছে। যা খুবই দেশটির জন্য উদ্বেগের বিষয়।
সংগঠনটির মুখপাত্র নিকি অ্যাডামস জানায়, ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বালানি বিল নারীদের পতিতাবৃত্তির দিকে প্রবাহিত করেছে। অর্থ উর্পাজনে তারা রাস্তা বা অনলাইনকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে। যারফলে প্রায়শই তারা বিপদ-আপদের সম্মুখীনও হচ্ছেন।
যৌনকর্মীদের সহায়তা প্রদানকারী একটি দাতব্য সংস্থা ম্যাশ-এর সিইও অ্যানি এমেরি বলেছেন, গত ২ বছরে করোনা মহামারী এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে অনেক নারীর ইতিমধ্যেই অনিশ্চিত জীবন পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কর্মজীবী নারীদের মধ্যে একটি বড় আকার রাতারাতি তাদের আয় হারিয়েছে এবং পতিতাবৃত্তি ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় ছিল না।
অ্যানি এমেরি আরও বলেছেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে এমন অনেক নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা কয়েক বছর আগে যৌন কাজ থেকে সরে এসেছিলেন এবং তারা আবারও এই পথে ফিরে এসেছেন। এছাড়াও অনেক নারী প্রথমবারের মতো এই পথে উপার্জন করছেন, যারা জীবনযাত্রায় টিকে থাকার তাগিদে তাদের শেষ বিকল্প হিসাবে যৌন কাজের দিকে পতিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি গত মাসে ১০ শতাংশ সীমা অতিক্রম করার ফলে এটি গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যার কারণে খাদ্যদ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দামের সাথে যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি প্রতিনিয়ত। সরকারি সংস্থা অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের রেকর্ড অনুসারে সর্বশেষ ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে এত বেশি মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
Array