এখন যারা মানবাধিকার নিয়ে নানা বিবৃতি দিচ্ছেন তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি আহুত হরতাল-অবরোধে পরিচালিত পেট্রোলবোমা হামলায় পুড়ে শতশত মানুষের মৃত্যুর সময় কোথায় ছিলেন, সে প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
ড. হাছান বলেন, `এখন মানবাধিকার ব্যবসায়ীরা সরব হয়েছেন। আর মানবাধিকার নিয়ে যারা বিবৃতিজীবী তারাও সরব হয়েছেন। আমার প্রশ্ন ২১ আগস্ট মানবাধিকার ব্যবসায়ীরা কোথায় ছিলেন, এই মানবাধিকার নিয়ে বিবৃতিজীবীরা কোথায় ছিলেন! ২০১৩-১৪-১৫ সালে যখন জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে তখন এই মানবাধিকার ব্যবসায়ী-বিবৃতিজীবীরা কোথায় ছিলেন!’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব, মার্কিন রাষ্ট্রপতি, বহুদেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের প্রশংসা করে। এবং বিশ্বব্যাংক, যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংক আবার পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমাদের নেত্রী বলেছেন, না আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব।’
কিন্তু এই বদলে যাওয়া অনেকের পছন্দ নয় বলে সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যে আন্তর্জাতিক শক্তি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, যে দেশীয় শক্তি স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছে, এই উন্নয়ন তাদের পছন্দ নয়, তাই তারা এখন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
Array