নয়াপল্টনে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল ড. অলি আহমদ। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখেন।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসলে তাকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।
এসময় এলডিপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নেয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, মোর্শেদ, সাকলায়েন, কফিল উদ্দিন, আবুল হোসেন ভুঁইয়া, হাফিজুর রহমান সহ অনেকেই।
ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন শেষে অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার যে কাজ করেছে সেটা একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীও এমন বর্বরতা কোনো রাজনৈতিক অফিসে করেনি। কারো বাসায় করেনি। পুলিশ তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুট করেছে। আসলে সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেনা।
তিনি বলেন, বিএনপি বড় প্রাপ্তি এই সরকারকে বিশ্বের কাছে উলঙ্গ করেছে। কারণ দুনিয়ার মানুষ জেনেছে যে, সরকারের মনুষ্যত্ব নেই। পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে এই কাজ করেছে। তাদের মনে রাখতে হবে অত্যাচার চালিয়ে কোনো স্বৈরশাসক টিকতে পারেননি।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে বিদায় করার জন্য যা করা দরকার করতে হবে। আমরা তাদের পাতা ফাঁদে পা দেবোনা। আইন মোতাবেক সব করা হবে। বিএনপিকে আরো শক্তিশালী হয়ে কর্মসুচি দিতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। যাদের লোকবল আছে তাদেরকেই সাথে নিন। শুণ্য যোগ শুণ্য সমান শুণ্যই হয়। যারা ওয়ানম্যান শো তাদের পরিহার করে যাদের যাদের শক্তি ও অবস্থান আছে তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে।
অলি আহমদ বলেন, এই সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। তারা অর্থনীতি পঙ্গু করে ফেলেছে। ফলে বিশ্বের কাছে অনুরোধ আজকে কেউ এককভাবে চলতে পারেনা। আসুন সবাই মিলে কাজ করি। এই দুর্নীতিবাজদের আপনারা স্থান দিবেন না। কারণ তারা অমানুষ। তাদেরকে যারা স্থান দিবেন তারাও অমানুষ হিসেবে গণ্য হবেন। কারণ এরা ১৮ কোটি মানুষের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। তাদেরকে ভিসা দিবেন না।
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে আলাপ করে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাবো আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে। সরকার পালানোর সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ৭ ডিসেম্বরের পর তারা সেই সুযোগ বন্ধ করে ফেলেছে। এখন জনগণ তাদের বিচার করবে।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে মানুষের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ অসহনীয় পরিস্থিতিতে বাস করছে। আজকে সরকারের পতন অনিবার্য।
সবশেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ সকল বন্দী নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান কর্নেল অলি আহমদ।
Array
