বুধবার দিল্লিতে সৌগত রায়ের বাসভবনে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা। তার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যে সংসদের অধিবেশন চলছে তাতে অনেকগুলো বিল পেশ হতে চলেছে।
এর মধ্যে কিছু বিপজ্জনক বিল রয়েছে, যা রাজ্যের গণতান্ত্রিক এক্তিয়ার ও যুক্ত কাঠামোকে ক্ষুণ্ণ করবে। সংসদ গায়ের জোরে এরকম করতে পারে না। আমি দেখলাম যে, ১৬টা বিল তালিকাভুক্ত হয়েছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটা এই ধরনের বিল রয়েছে। যেখানে রাজ্যের এক্তিয়ারে সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ রয়েছে’।
মমতার মতে, ‘গণতন্ত্রে বহু নেতা থাকবেন, বহু রাজনৈতিক দল থাকবে, তাদের আলাদা আলাদা মতাদর্শ থাকবে, রাজ্যগুলো থাকবে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা যার থাকে সেই জেতে। তার মানে এই নয় যে, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও। রাজ্যকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও।
আজ আমি কিছু করে দিলাম, কাল যে সরকার আসবে সে তো বদলেও ফেলতে পারে’।
সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘আমরা সংসদে বলিষ্ঠ কিন্তু শান্তভাবে গঠণমূলক ভূমিকা পালন করব। আমরা সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে সমন্বয় রাখব, যদি তারা সমন্বয় রাখতে চায়’।
তৃণমূলনেত্রীর এহেন মন্তব্যে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘আমরা তো অবাক।
যিনি নিয়ম রক্ষায় রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকেন। বিরোধীদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই একের পর এক বিল পাস করেন। রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়োগের বিল পাস হয়ে যায় কোনও আলোচনা ছাড়াই। তিনি কি না দিল্লি গিয়ে বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা যায় না?’