দুর্নীতির মামলায় আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারকে (৬৯) ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও কংগ্রেশনাল দায়মুক্তির কারণে ক্রিস্টিনাকে কারাগারে যেতে হবে না। দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এ সুবিধা পাবেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আর্জেন্টিনার ইতিহাসে ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজই প্রথম, যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারাদণ্ড পেলেন।
ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিজের শক্তিশালী ঘাঁটি পাতাগোনিয়া অঞ্চলে সরকারি কাজ প্রদানে অনিয়ম করেছেন তিনি। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে নিজের বন্ধুকে সরকারি নির্মাণ কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রসিকিউটররা তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় মঙ্গলবার তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও কারাদণ্ডকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলে দাবি করেছেন ক্রিস্টিনা। তার দাবি, ‘বিচারবিভাগীয় মাফিয়ার’ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ছয় বছরের সাজার পাশাপাশি ক্রিস্টিনাকে আজীবনের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান রায়ের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে কোনও বাধা নেই।
এদিকে একই মামলায় একটি নির্মাণ সংস্থার মালিক ব্যবসায়ী লাজারো বেজকেও ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ পাচারের দায়ে গত বছরও তাঁকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Array