সীমান্ত অনুশাসন মেনে চলতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আগাম তথ্য বিনিময়েও সম্মত হয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ৮ম সীমান্ত সম্মেলন শেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশে (বিজিপি) পক্ষ থেকে এ সম্মতি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে দুই বাহিনীর মধ্যে দুরত্ব দূর করতে ভূমিকা রাখবে। সীমান্তে সংঘাত পূর্ণ পরিস্থিতির অবসানে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে সম্মেলনের মাধ্যমে মিয়ানমারকে জানানো হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্তও করেছেন যে মিয়ানমারের অভ্যান্তরিন সংঘাতের ফলে সীমান্তে এধরণের ঘটনা আর ভবিষ্যতে ঘটবে না।
আকাশ সীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়েও সীমান্ত সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বিভ্রান্তি এড়াতে মায়ানমার ড্রোন, হেলিকপ্টার বা বিমান চলাচলের আগাম তথ্যসহ সীমান্তে গোলাগুলি বা বিস্ফোরণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করতে সম্মত হয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় আইইডি স্থাপনের বিষয়ে বিজিবি ডিজি বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের বেশ কিছু পয়েন্টে আইইডি স্থাপনের তথ্যটি তাদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা এমন যে, আইইডিগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্থাপন করে থাকে। আমরা বলেছি, এটা যারাই করুক দুই দেশের জন্য এটা হুমকি। তারা যৌথভাবে কাজ করে এসকল সমস্যা সমাধানের বিষয়েও সম্মেলনে সীদ্ধান্ত হয়েছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার মায়ানমারের রাজধানী ‘নেপিতো’ তে ৫ দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
অপরদিকে, মায়ানমার পুলিশ ফোর্সের ডেপুটি চীফ পুলিশ মেজর জেনারেল অং নেইং থু (Police Major General Aung Naing Thu)- এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মায়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। মায়ানমার প্রতিনিধিদলে মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও সে দেশের প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
Array