অন্যের খুশি, আনন্দে অংশ নেওয়া, বিপদ-আপদে এগিয়ে আসা, সহানুভূতি প্রকাশ করা একজন মুমিনের অন্যতম দায়িত্ব-কর্তব্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই; কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দাও। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ -(সুরা হুজরাত : আয়াত ১০)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ঈমানদারদের সাথে একজন ঈমানদারের সম্পর্ক ঠিক তেমন যেমন দেহের সাথে মাথার সম্পর্ক। সে ঈমানদারদের প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট ঠিক অনুভব করে যেমন মাথা দেহের প্রতিটি অংশের ব্যথা অনুভব করে। -(মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩৪০)
মুসলমান মাত্রই অন্য মুসলমানের কল্যাণ কামনা করবে। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ অপর মুসলমানের জন্য দোয়া করা। এর বিশেষ ফযিলতও রয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত উম্মুদ দারদা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলতেন, এক মুসলমান যখন অপর মুসলমানের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করে তখন তা কবুল করা হয়। তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেওয়া হয়। যখনই সে অপর মুসলমানের জন্য কল্যাণের দোয়া করে তখনই সেই ফেরেশতা বলে, আমীন, তোমাকেও যেন অনুরূপ দান করা হয়। -(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৬)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন , কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি আল্লাহর নিকট দোয়া করে এবং সে দোয়া’র মধ্যে পাপ অর্থাৎ অসৎ উদ্দেশ্য এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রসঙ্গ না থাকে, তবে আল্লাহ তাআলা উক্ত দোয়া’র বিনিময়ে ঐ ব্যক্তিকে তিনটি প্রতিদানের যে কোনো একটি দান করেন। (মুসনাদে আহমদ/মিশকাত)
Array