তদন্তে প্রমানিত রাজশাহীর দুই দূর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তা ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে এখনো স্ব-পদে বহাল রয়েছে । শিক্ষামন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, “অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বদলি ফাইল এতদিন যাবত অদূশ্য কারণে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দপ্তরে পড়ে আছে।” ঠিক কি কারণে তাদেরকে অপসারণ অথবা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এ নিয়ে শিক্ষক মহলে আলোচনা – সমালোচনার ঝড় বইছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক ড. কামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক আবু রেজার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ ও মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে কলেজ শিক্ষক সমিতি।
গত ৯ নভেম্বর রাজশাহীর আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক নেতারা। মানববন্ধনের আগে তারা , রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যামে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী,সচিব ও ডিজি বরাবর স্বারক লিপি জমা দেন।
এরপর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্তের রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই দ্রুত তাদের অপসারণ ও বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।
এর আগে তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের সোনাদীঘির মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এবিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা আজকালের বার্তাকে বলেন, দুইজন চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এখনো তাদেরকে স্ব-পদে বহাল রাখা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমরা শীগ্রই কঠোর আন্দোলনে নিয়ে মাঠে আসবো।
শিক্ষা উপমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম আজকালের বার্তাকে জানান,“শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয় বিদেশ সফর থেকে আসার পর ফাইলটি দেখেছেন। তিনি আমাকে রেখে দিতে বলেছেন।”
অবিলম্বে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষা কর্মকর্তা চান রাজশাহীর শিক্ষক মহল।
Array