নিজস্ব প্রতিবেদক/
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়া ৩২ প্লট বেদখল করে মাঠ নির্মাণের অভিযোগের বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে টিম।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার পল্লবী থানাধীন মিরপুর সেকশন ১১ এলাকায় প্যারিস রোডে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বালু ফেলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্লট ভরাট করে দখল নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। টিম অবৈধ দখলের বিষয়ে মিরপুর গৃহ সংস্থান বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
পরিদর্শনকালে টিম দেখতে পায়, প্লটগুলোতে শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠ নামে সাইনবোর্ড টাঙানো আছে। যেখানে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরের নাম লেখা রয়েছে। এ বিষয়ে গত ২ অক্টোবর জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পল্লবী থানায় সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাধারণ ডায়েরি করার বিষয়টিও জানতে পেরেছে দুদক টিম। সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তসহ প্রতিবেদন কমিশনের পেশ করা হবে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্যারিস রোডের ৩২টি প্লটের তিন দিকে প্রায় ৪০ ফুট প্রস্থের পাকা রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা থেকে প্লটগুলো আড়াই থেকে তিন ফুট নিচু। প্লটগুলোর চারপাশের সীমানা প্রাচীর ভাঙা। প্লটে বালি ফেলে বুলডোজার দিয়ে সমান করে মাঠ তৈরি হয়। জোরপূর্বক খেলার মাঠ তৈরি থেকে বিরত থাকতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলামকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। গৃহায়ণ থেকে প্লট বরাদ্দ পাওয়া সাত মালিকের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
Array