করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জনের। কিন্তু এবার রেকর্ডের পর রেকর্ড করে সেই মৃত্যু দুই শতাধিকে পৌঁছেছে।দৈনিক আক্রান্ত ১০ হাজারের ওপরে, যা আশঙ্কাজনক।
করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ডেল্টায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত বছরও এত মৃত্যু ও সংক্রমণ দেখেনি দেশ।বর্তমানে দেশের কোনো হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি নেই।এমনকি সাধারণ করোনা বেডও পর্যাপ্ত খালি নেই। এ অবস্থায় ‘অসহায়ত্ব’ প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিধিনিষেধ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, হাসপাতাল করার আর জায়গা নেই। হাসপাতাল খালিও নেই। তাই আমরা এখন হোটেল খুঁজছি, যাতে মৃদু আক্রান্তদের সেখানে রাখতে পারি।
জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যে হাসপাতালে ৯০ শতাংশ শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। আইসিইউ অলরেডি ৯৫ শতাংশ পূর্ণ। এ চিন্তা করে আমরা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করছি। সেখানে ইমিডিয়েটলি আমরা হয়তো ৫০০/৬০০ শয্যা রেডি করতে পারব। পরে তা এক হাজার শয্যায় নেওয়া যাবে।
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত সবাইকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে না। হালকা ও মাইল্ড কেসের রোগীদের জন্য আমরা আলাদা হোটেল ভাড়া করার চিন্তা করেছি- যেখানে ডাক্তার, নার্স ও ওষুধপত্র থাকবে। অক্সিজেনের ব্যবস্থাও আমরা রাখব।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে সাত দিনের জন্য দেশে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সাত দিনে আমরা প্রায় এক কোটি টিকা দেব। আমাদের হাতে সোয়া কোটি টিকা আছে। এ মাসে আরও প্রায় এক কোটি টিকা আসবে। আর চীনের সঙ্গে মিলে স্থানীয়ভাবেও টিকা উৎপাদনের কাজ এগিয়ে চলছে।
Array