শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৩তম সমাবর্তন।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এবারের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ মোট তিনটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এই সমাবর্তন। ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে—ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যুতে ডিজিটাল স্ক্রিনে। এই সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ৪টি সমাবর্তনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়—২০১৭ সালে ৫০তম সমাবর্তনে অংশ নেন ১৭ হাজার ৮৭৫ জন গ্র্যাজুয়েট। ৫১তম সমাবর্তনে ২০১৮ সালে ২১ হাজার ১১১ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ৫২তম সমাবর্তনে অংশ নেন ২০ হাজার ৭৯৬ জন গ্র্যাজুয়েট।
৫৩তম সমাবর্তনে ১৩১ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মোট ৫২ জনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। প্রফেসর ড. জ্যাঁ তিরোলকে ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৩ জনে।
৫২তম সমাবর্তনে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছিল ৯৮টি। এছাড়া ৫৭ জনকে পিএইচডি, ছয় জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল।
সমাবর্তনের অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটদের সকাল ১১টার মধ্যে মূল প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের ১১টা ২০ মিনিটের মধ্যে প্রবেশ করতে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে কড়াকড়ি। ১৭ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ক্যাম্পাসে অবস্থিত ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টিএসসি ক্রসিং থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বর এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
Array