আন্তর্জাতিক ডেস্ক/
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজি করানোর জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রুশ নেতা পুতিন ক্ষমতা থেকে না সরা পর্যন্ত শান্তি আলোচনায় বসব না- ইউক্রেনের এই একগুয়েমিও ত্যাগ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে পাঠানোর পাশাপাশি জেলেনস্কি সরকার যেন আগামী নির্বাচনগুলোতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমর্থন না হারায় সেটিও নিশ্চিত করতে চায় মার্কিনীরা।
খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রশাসনের এই মনোভাব অনেকটা দুর্বলতা প্রকাশ করছে। এমনকি ইউক্রেনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানও কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধের প্রথম দিকে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল সংযুক্ত করার পরে, জেলেনস্কি পুতিনের সাথে শান্তি আলোচনা করা অসম্ভব বলে একটি ঘোষণা দেন।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ‘‘যতদিন লাগে ততদিন” ইউক্রেনকে সহায়তা তারা করবে- এটা সেই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত।
এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় পেছন থেকে পুতিনমুখী হয়ে পড়ছেন মার্কিনীরা।
এ ছাড়া গেল আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের যে সমাধানের আশা করছিল, তার সম্ভাবনা হয়তো শেষ হয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বরং বুঝতে পারছে, যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি ব্যাপক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হাউস প্রগতিশীলরাও গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে পাঠানো চিঠিতে ইউক্রেনের যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। যদিও পরে সেই চিঠি প্রত্যাহার করা হয়।
তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মনোভাবও প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছে, জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনের আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউরোপ, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হচ্ছে।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মুখপাত্র ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Array