বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের দুদিন আগে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে জেলা মোটর মালিক সমিতি। সড়ক-মহাসড়কে হয়রানি ও অবৈধ যানবাহনের চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট।
শনিবার বিএনপির গণসমাবেশে যেতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এজন্য ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন তারা। নীলফামারীতে ট্রেনে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাতে কাঁথা-কম্বল নিয়ে শত শত নেতাকর্মী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। দলীয় স্লোগানে মুখরিত স্টেশন প্ল্যাটফর্ম। খানিক বাদেই তিতুমীর এক্সপ্রেস এলে ট্রেনের ওঠার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
একই চিত্র দেখা গেছে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে। পরিবহন বন্ধ থাকায় সেখানেও ছিল তুলনামূলক ভিড়।
জলঢাকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আবু সাঈদ শাকিল বলেন, ‘সরকারের সব বাহানা টপকিয়ে আমার প্রায় দুইশ কর্মী সমাবেশে যোগ দেবে। অনেককে আমি আগেই পাঠিয়েছি। আজ আমরা ৫০ জন একসঙ্গে ট্রেনে যাচ্ছি।’
ডোমার উপজেলা বিএনপির নেতা সোহাগ ইসলাম বলেন, ‘শত শত নেতাকর্মী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। আজ বাস বন্ধ, কাল ট্রেনও বন্ধ করতে পারে। এজন্য একদিন আগেই যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সমাবেশটি মহাসমাবেশ হবে।’
শাহিনুর ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, ‘যতই বাধা দিক না কেন আমাদের ঠেকানো যাবে না। সারারাত স্লোগান দিয়েই কাটাবো। কাল সমাবেশে যোগ দেবো।’
নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার বলেন, সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের উৎসাহ -উদ্দীপনার শেষ নেই। আমরা শতাধিক গাড়ি নিয়ে জেলা থেকে যেতে চেয়েছিলাম। তবে আওয়ামী লীগ সরকার বাহানা করে সমাবেশ বানচাল করার জন্য ধর্মঘট দিয়েছে। তবে এই অঞ্চলের জিয়াপ্রেমী নেতাকর্মীরা দুদিন আগে থেকেই সমাবেশে যাওয়া শুরু করেছেন।’
তিনি বলেন, আজ ট্রেনে করে শতাধিক নেতাকর্মী গেছেন। বাস বন্ধ করেছেতো কী হয়েছে, ট্রেনতো আছে। ট্রেন বন্ধ করলে পাঁয়ে হেটে সমাবেশে যাবো।’
শনিবার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির এই সমাবেশের জন্য চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। সমাবেশের আগে ধর্মঘটের উপেক্ষা করে সর্ববৃহৎ জনসমাগম করার টার্গেট নেতাকর্মীদের।
Array