আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন উঠানের সামনে জলাধার। হাঁটছেন, চলছেন, ফিরছেন যেখানেই যাচ্ছেন শহরজুড়ে শুধু পানি আর পানি। তাই বলে ঢাকার মতো রাস্তায় হাঁটু কিংবা বুক সমান পানি না। সেখানে গেলে মনে হবে যেন কোনো জলাশয়ের শুকনো দ্বীপে হাঁটছেন, কিংবা আপনার বিচরণের শহরটিই গড়ে তুলেছেন জলাশয়ের ওপর। ভাবতে অনেকটা অবাস্তব মনে হলেও নেদারল্যান্ডসে এমনই এক শহর গড়ে উঠেছে। আর শহরটি নজর কেড়েছে ভ্রমণপ্রেমীদের।
ফ্রিজিয়ান হ্রদ ও নেদারল্যান্ডের বৃহত্তম হ্রদ আইজেসেলমিরের মাঝামাঝিতে ভাঙা চাকার মতো আকারের দেখতে শহরটির নাম ‘‘হেট ব্রেকেন্সে হুইল” বা ‘‘দ্য ব্রোকেন হুইল”।
শহরটি যেন ছোট ছোট উঠোনে বিভক্ত। যার প্রতিটিতেই কয়েকটি করে বাড়ি। এগুলোতে একদিকে যেমন গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যায়, তেমনই এসব বাড়িতে চলে যাওয়া যায় নৌকা নিয়েও।
পরিকল্পিত এই নগরীতে পানির অবাধ যাতায়াতের সুযোগ রাখতেই মূলত ভাঙা চাকার মতো আকার দেওয়া হয়েছে। ১১ হেক্টর এলাকাটিতে ২৩০টি বাড়ি গড়ে তোলা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের লেমার শহরের কাছাকাছি এই এলাকাকে বলা হচ্ছে পানি ও দ্বীপের এক মেলবন্ধন। এজন্য প্রতি বছর বহু পর্যটকও আসেন শহরটি দেখতে।
শহরের পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, শুধু মনোযোগ আকর্ষণ নয়, বরং কয়েক ডজন ভাঙা চাকার মতো আকারের এই শহরে নাগরিক সুবিধাও পর্যাপ্ত। নৌকা রাখার জায়গা যেমন রয়েছে, তেমনই আছে পার্কিং স্থানও।
বর্তমানে এই শহরের একেকটি বাড়ি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন লাখ ইউরোর বেশি দামে। বিশ্বের নামি ধনকুবেররা একটি বাড়ি কিনে রাখছেন এ মনোমুগ্ধকর জলের শহরে।
মূলত ১৯৯২ সালে ‘‘হেট ব্রেকেন্সে হুইল” বা ‘‘দ্যা ব্রোকেন হুইল” নামের এই শহর গড়ে তোলা হয়। নির্মাণের পরেই স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি। বিশেষ করে গ্রীষ্মের গরমে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়।
Array