নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, সার সহ ১৩ টি জাহাজ ও বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় স্থানীয় ডুবুরি দিয়ে অনুসন্ধান করছে মালিকপক্ষ। বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কোন ধরনের উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়নি। ডুবে যাওয়া নৌযানগুলোতে কোন নিখোঁজ নেই বলে মালিকপক্ষ জানিয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবী করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মালিকরা জানায়, ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার গভীর রাতে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে পদ্মা নদীর জেলার শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নের চায়নাখাল ও চরজানাজাত ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি এলাকায় নোঙ্গর করে রাখা ৬’শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারসহ এমভি সালসাবিন, ৫শ মেট্রিক টন সারসহ এমভি কাঁঠালবাড়ি, ৬ হাজার ৫ শ বস্তা আমান সিমেন্টসহ সাজেদা পরিবহন-২, ৯ হাজার বস্তা সেভেন রিং সিমেন্টসহ আলফি-৩, ১০ হাজার বস্তা আকিজ সিমেন্টসহ সামির এন্ড মোহাম্মদ, ৯ হাজার ৫ শ বস্তা ফ্রেস সিমেন্ট সহ এমভি আর এন এন্টার প্রাইজ, ৮ হাজার ৫ শ বস্তা প্রিমিয়ার সিমেন্টসহ এমভি মোহাম্মদীয়া-৪, ৬ হাজার বস্তা বসুন্ধরা বীর সিমেন্টসহ এমভি বসুন্ধরা-২৮ নামক জাহাজসহ অন্তত ১৩ টি জাহাজ ও বাল্কহেড ডুবে যায়।
আকিজ সিমেন্টের মালিক সামির হোসেন জানান, জাহাজে থাকা কয়েক কোটি টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে ৮টি জাহাজের মালামালের তথ্য পাওয়া গেলেও বাকি ৫ টি জাহাজের মালামালের তথ্য পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্র্শন করেছে। আমরা স্থানীয় ডুবুরি দিয়ে বুধবার সকাল থেকে জাহাজ খোঁজার কাজ করছি। মালামাল আপাতত মনে হচ্ছে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন জাহাজ উঠাতে পারলেই হবে।’
এ ব্যাপারে শিবচর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহানুর আলী জানান, ‘কিছু নোঙর করা জাহাজ ও বাল্কহেড ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে সার ও সিমেন্ট ছিল বলে জেনেছি। তবে এখনো মালিকপক্ষ আমাদের কাছে লিখিতভাবে দাবী করেনি। তারপরেও আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন মালিকপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় উদ্ধারে আমরাও সহযোগিতা করবো। যেহেতু ব্যক্তিগত সম্পদ তাই মালিকপক্ষকে অবশ্যই অগ্রানিক ভূমিকা রাখতে হবে।’
Array