স্পোর্টস ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব। সিডনিতে সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে তাসমান পাড়ের আরেক দেশ নিউজিল্যান্ড। আর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টি-টোয়েন্টির সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে আফগানিস্তান। গ্রুপ-১’র ম্যাচে উভয় দলই জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে চায়।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় পার্থ স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংলিশরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে সেমিফাইনাল থেকেই ঘরে ফিরতে হয়েছিল ইংলিশদের। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের।
গত বিশ্বকাপের পর এ পর্যন্ত ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। এরমধ্যে জয় ১০টিতে। হার ১০টিতে। বাকি ১টি ম্যাচ হয়েছে বৃষ্টিতে পন্ড।
বিগত এই সময়ে ইংল্যান্ডের সেরা সাফল্য সর্বশেষ দু’টি সিরিজ জয়। পাকিস্তানের মাটিতে সাত ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশরা। সিরিজটিতে দলে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক জস বাটলার-জনি বেয়ারোস্টো।
এরপর বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। দু’টি ম্যাচই ৮ রানে জিতে তারা। এই দু’টি সিরিজ জয় বিশ্বকাপের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে ইংল্যান্ডকে।
ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে জয়ের মধ্যে থাকা অনেক বড় ব্যাপার। যা আমরা করেছি। পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।’
প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে নিয়ে বেশ সতর্ক ইংলিশরা। বাটলার বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে নামিবিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। এই ফরম্যাটে যে কোন দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। তাই আমরা সতর্ক। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে, জয় পাওয়া অসম্ভব কিছু না।’
বিশ্বকাপের আগে ১টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে হওয়া ঐ ম্যাচটিও ৬ উইকেটে জিতেছে তারা। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড। দলের অন্যতম সেরা পেসার রিচ টপলিকে হারাতে হয়েছে চোটের কারণে। তার জায়গায় দলে এসেছেন টাইমাল মিলস।
তারপরও ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন-আপ বেশ শক্তিশালী। দলের পেস বিভাগকে নেতৃত্ব দিবেন ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, স্যাম কারান ও মার্ক উড। অলরাউন্ডার হিসেবে থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস। স্পিনে আদিল রশিদের সাথে পারদর্শী মঈন আলি। ব্যাটিংয়ে টপ-অর্ডারে প্রতিপক্ষকে একাই ধসিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে বাটলারের। অ্যালেক্স হেলস-হ্যারি ব্রুক-লিয়াম লিভিংস্টোন-ডেভিড মালানরাও প্রতিপক্ষের উপর ঝড় বইয়ে দিতে পারদর্শী।
২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংলিশরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা।
এ দিকে গত বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলেছিলো আফগানিস্তান। ৫ ম্যাচের মধ্যে ২টিতে জয় এবং ৩টিতে হারের স্বাদ পেয়ছিলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। বিশ্বকাপের পর ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে আফগানিস্তান। জয় পেয়েছে ৮টিতে, হেরেছে ৭টিতে।
সর্বশেষ এশিয়া কাপে সুপার ফোর থেকে আসর শেষ করে তারা।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়েছে মোহাম্মদ নবীর দল। টাইগারদের ৬২ রানে হারিয়ে নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরেছে আফগানরা। বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি শেষ করতে পারেনি আফগানিস্তান।
বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি নেই বলে মনে করেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারিনি আমরা। তবে প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি নেই। সুপার টুয়েলভে বড়-বড় দলের বিপক্ষে খেলতে হবে আমাদের। জয় দিয়ে আসর শুরু করতে পারলে, দারুন হবে। পরের ম্যাচগুলোতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে।’
এখন পর্যন্ত ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। ২০১২ ও ২০১৬ বিশ্বকাপের আসরে সেই দুই ম্যাচেই জিতেছে ইংল্যান্ড।
Array