এফ.জে ওমর, শরীয়তপুর থেকে: শরীয়তপুরের জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন । গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপ সঙ্গে ইসাহাক ফকির ও গাজি ফকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য হোসেন (৩২) ও স্থানীয় সিরাজ বেপারির ছেলে কলেজ ছাত্র তন্ময় বেপারীর (২৩) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ের হরিয়াশা এলাকার স্থানীয় আবু ফকির ও ইসাহাক ফকিরের মধ্যে টিএন্ডটি মোড়ের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দুই পক্ষের লোকজনকে নিয়ে একাধিকবার সালিসি বৈঠকও হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপের সঙ্গে ইসাহাক ফকির ও গাজি ফকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ছেনদা-রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ ছাড়া উভয় পক্ষের সমর্থকরা অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ককটেলসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশ। এ ছাড়া উভয় পক্ষের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের অন্তত ১০টি বাড়িতে থাকা ঘরবাড়ি কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
এই ঘটনায় হাতবোমার স্প্লিন্টার থেকে ইসাহাক ফকিরের বাড়িতে থাকা একটি ঘরে আগুন লেগে যায় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ঘড়ও পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
জাজিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মো. এনামুল হক সুমন জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এতে আমাদের চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে হয়। এখনো কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া অভিযোগ না আসলেও আমরা আমাদের মতো করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
Array