ঝালকাঠি প্রতিনিধি: : ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ কে সামনে রেখে এক মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী পক্ষে ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতা,ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদুল হক মনিরের মা মহিলা সদস্য পদপ্রার্থীর পক্ষে তিনি ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট গ্রহন করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য নাছরীন সুলতানা মুন্নি বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার,বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে
লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছে।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আগামী ১৭ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচন তিনি মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ফুটবল প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দ্বিতা করছেন। সরকার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভাবে নির্বাচন করতে নির্দেশ দিলেও স্থানীয় একটি সার্থান্বেসী চক্র আওয়ামীলীগ অভ্যন্তরে ডুকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারায়
লিপ্ত রয়েছে। চিহ্নিত মহলটি বিভিন্নভাবে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ খুন-জখমের হুমকি ও ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট গ্রহনের প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার ভোট কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ০২ জন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবী জানাচ্ছি।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নাছরীন সুলতানা মুন্নী বলেন, কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদুল হক মনিরের মা জাহানারা হক মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী হওয়ায় তিনি এ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের ক্ষমতার অব্যবহার ও প্রভাব বিস্তার করে প্রতিনিয়ত আচারন বিধি লংঘন করছেন। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থানীয় ভোটদের কাছে এই প্রার্থী এক বারের জন্যও ভোট চাইতে না গেলেও তার পুত্র উপজেলা চেয়ারম্যান মনির এ উপজেলা থেকে একজন ভোটারো অন্য কোন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেনা বলে ঘোষনা দিচ্ছে। এ অবস্থায় পরিস্তিতির গুরুত্ব বিবেচনায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ভোটের দিন দুটি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ০২ (দুই) জন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদুল হক মনিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী। অতএব তার পক্ষে প্রচার বা প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নই আসেনা। আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মী তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় লিপ্ত রয়েছে। আসলে নির্বাচনে পরাজয়ের আশংকায় ও ভোটারদের কাছে সারা না পেয়ে তিনি অপপ্রচার ও অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।
Array