অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চাঁদপুরের ‘বালুখেকো’ খ্যাত বিতর্কিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় জামিন শুনানির জন্য সেলিম খান আদালতে হাজির হন। বিকালে তার বিষয়ে শুনানি হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে একই বিচারকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ‘বালুখেকো’ হিসেবে পরিচিত সেলিম খান। দুদক তার জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত প্রতিবেদনসহ জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন।
জানা গেছে, এবছরের ৬ এপ্রিল দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল ধনসম্পদ অর্জনের বিষয়ে সেলিম খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়।
অভিযানকালে দুদকের টিম চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মৌজায় চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের পাশে মেঘনা নদী থেকে ৮০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমি সরেজমিন পরিদর্শন করে।
এ ব্যাপারে তখন সংবাদ সম্মেলন করে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জুলাইয়ের প্রথমে চাঁদপুরে অভিযান চালায় দুদক এনফোর্সমেন্ট। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজি করেন সেলিম।
এর মাধ্যমে সরকারের ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় সেটি আর হয়নি। এ ছাড়া মেঘনা-পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারেও এনফোর্সমেন্ট টিম তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। এ ব্যাপারেও আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ এপ্রিল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ সেলিম খানকে ৬০ দিনের জন্য বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। পরে পুনরায় আবেদনের ফলে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
Array