ওসমানীনগর প্রতিনিধি::
সিলেটের ওসমানীনগরে একটি মাদরাসার এডহক কমিটি ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এলাকার সচেতন মানুষের স্বাক্ষর জাল করে কে বা কারা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রতিবাদে গত ৭ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে আরেকটি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী। এঘটনায় এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২ জুন উপজেলার চকবাজার ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার আশপাশ এলাকার সচেতন একাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মাদরাসার এডহক কমিটি ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে গত ৭ জুলাই স্থানীয় মো. আব্দুর রহিম, মো: আশক আলী, সৈয়দ ইছাক আলীসহ ১৬ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাল্টা একটি লিখিত অভযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ মে মাদরাসার অধ্যক্ষ বিধি মোতাবেক মদরাসার সভার আহবান করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে ঐক্যমতের সিদ্ধান্তে এডহক কমিটির সভাপতি ডা: মিজানুর রহমান, এড: আবু তাহের ও মাওলানা গোলাম জাকারিয়া শাহজাহানের নাম বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড প্রস্তাবিত তিনজনের মধ্যে ডা: মিজানুর রহমানকে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেন। সদস্য সচিব (পদাধিকার বলে) অধ্যক্ষ আবু ছালেহ আল মাহমুদ, অভিবাবক সদস্য মো. হুশির মিয়া ও শিক্ষক সদস্য মো. আক্তার হোসাইনকে অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এ সকল দুস্কৃতিকারীরা অর্ধশত বছরের পুরাতন এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। মাদরাসার বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষরে অভিযোগ দিলে মাদরাসার প্রিন্সিপাল এলাকাবাসীকে নিয়ে সভার আয়োজন করেন। স্থানীয় কয়েকজনের নাম ব্যবহার করে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগের বিষয়টি উপস্থিত সভাকে জানালে তারা বিস্মতি হন। পরে মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি, শিক্ষক ও কমিটির অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার করার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদরাসার দাতা সদস্য মীরেরগাও গ্রামের মো: আব্দুর রহিম, একই গ্রামের সৈয়দ ইছাক আলী, মাদরাসার অভিবাবক সদস্য ও রাইকদারা গ্রামের হুশির আলী, দাতা সদস্য ও চকমন্ডল গ্রামের মো: আশিক আলীসহ ১৬ জন ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে সৈয়দ ইছাক আলী ও মো: হুশির আলী বলেন, আমাদের স্বাক্ষর জাল করে কে বা কারা অভিযোগ দিয়েছে তা আমরা কিছু জানি না। আমরা এর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছি। জাল স্বাক্ষরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
চকবাজার ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছালেহ আল মাহমুদ বলেন, মাদরাসার এডহক কমিটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠন করা হয়েছে। একটি মহল এর অপপ্রচার করছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, এব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমি সেই অভিযোগের একটি অনুলিপি পেয়েছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক অফিসের।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
Array