নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংকের দখল নেয় এস আলম। এর পরেই সার্কুলার ছাড়া বেপরোয়া নিয়োগ শুরু করে এস আলম। দেশের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে ৩-৫ জন করে জুনিয়র অফিসার নিয়োগ দেয় এস আলম। তারই মধ্যে একজন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর ব্রাঞ্চে মো: মহিউদ্দিন।
এস আলমের বিভিন্ন অপকর্মের বাস্তবায়নকারী এই অবৈধ নিয়োগ পাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা এস আলমের সাথে যোগসাজশে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
জুনিয়র অফিসার মো: মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারীর মত গুরুতর অভিযোগ।
২০২১ সালে কোন প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পান মো: মহিউদ্দিন। নিয়োগ পেয়ে সিরাজগঞ্জ সদরে পোষ্টিং ছিল তার। পরবর্তীতে তাকে শাহজাদপুর শাখায় বদলি করা হয়। তিনি নিজেকে এস আলমের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম আলমের নাতি হিসেবে পরিচয় দেন।
শুধু অবৈধ নিয়োগ পেয়েই ক্ষ্যান্ত থাকে নি মহিউদ্দিন । ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার একজনের কাছ থেকে ১০ লক্ষ্য টাকা নেওয়ার প্রমাণ এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। কিন্তু ৫ই আগষ্ট পট পরিবর্তন হওয়ার কারণে আর নিয়োগ দিতে পারেন নি। ভুক্তভোগী টাকা চাইতে গেলে নানা টালবাহানায় সময়ক্ষেপণ করছেন মাহি।
দুই সন্তানের জননী এক নারী এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মালিককে ব্লাকমেইল করে আসছেন এই মহিউদ্দিন । জানা গেছে ভুক্তভোগী ঐ নারীর স্বামী ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
শাহজাদপুর থেকে নিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেখান থেকে গোপনে বদলী হওয়ার চেষ্টা করছেন মহিউদ্দিন।
গত ১৯মার্চ ভুক্তভোগীরা ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছেন।
Array