পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
ঈদ উপলক্ষে প্রথম আলো বন্ধুসভা বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য নতুন জামা উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্য খাদ্যসহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতাই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রথম আলো বন্ধুসভা শাখা কর্তৃক কিছু পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে আনন্দঘন দিন হলো ঈদ। মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের নয়া চাঁদ প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ে বয়ে আনে নির্মল আনন্দের বার্তা। এই আনন্দ বার্তা সবার কাছে পৌছাতে পারলেও দরিদ্র অসহায় মানুষেরা বরাবরের মতোই বঞ্চিত হয়। ঈদের দিন তাদের কাছে অন্য সকল দিনের মতোই বিষাদময়। জীবন সংগ্রামের কাছে সেই ইদ আনন্দ মলিন হয়ে যায়।
তাদের ঘরে ছড়িয়ে পড়া বিষাদের ছোঁয়া আনন্দে পরিণত করতে প্রথম আলো বন্ধুসভা পবিপ্রবি ইউনিটের সকল সদস্যদের উদ্যোগে ১৪ মার্চ ও ১৫ মার্চ দুমকি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত, দুস্থ, গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদের খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়। প্রতিটি পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল সয়াবিন তেল, সেমাই, নুডলস, চিনি, গুঁড়া দুধ, পোলাও এর চাল, চিড়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি বন্ধুসভার সভাপতি অপূর্ব গমেজ , সাধারণ সম্পাদক ফারাহ্ রকিব তৃণ, সহ-সভাপতি দর্পণ কুমার মোহন্ত সহ কার্যকারী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এসময় উক্ত কার্যক্রম সম্পর্কে অনুভূতি প্রকাশ করে সভাপতি অপূর্ব গমেজ বলেন, “ঈদ সবার জন্য আনন্দের হোক—এই লক্ষ্যেই আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ, যাঁরা এ উদ্যোগকে সফল করতে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের ছোট্ট উদ্যোগ যদি কারও মুখে হাসি ফোটাতে পারে, সেটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
সাধারণ সম্পাদক ফারাহ্ রকিব তৃণ বলেন, “ঈদ শুধু উৎসবের নাম নয়, এটি ভালোবাসা ও সহমর্মিতার প্রতিচ্ছবি। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছে, যারা নানা অসুবিধার কারণে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই, আমরা চেয়েছি তাদের পাশে দাঁড়াতে, ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে।ঈদ হোক সবার জন্য—সমৃদ্ধ, সহমর্মিতায় ভরা ও ভালোবাসায় উজ্জ্বল। ”
এছাড়াও সহ-সভাপতি দর্পণ কুমার মোহন্ত বলেন, “প্রথম আলো বন্ধুসভা পবিপ্রবি ইউনিটের পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রীম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ, কিন্তু এই আনন্দ তখনই পরিপূর্ণ হয় যখন আমরা সবাই মিলে তা উদযাপন করি।
সহমর্মিতার ঈদ হলো সেই ঈদ, যেখানে আমরা শুধু নিজেদের নয়, আশেপাশের সব মানুষকে খুশি দেখার চেষ্টা করি। সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই ঈদের প্রকৃত আনন্দ অনুভূত হয়। তাই আসুন, আমরা ঈদের খুশিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিই, মানবতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করি।”
Array