কুমিল্লা প্রতিনিধি,
ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয়না কুমিল্লা বিআরটিএ অফিসে। বিআরটিএ অফিসে সর্বক্ষণই দালালদের আনাগোনা চোখে পরে। সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা অভিযোগ করেন এসব অনিয়ম নিয়ে। প্রত্যেকটি কাজের জন্যই কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হয় বলে দাবী করে দালালরা। তবে বিআরটিএ এর কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বিকার করেন।
টিআইবির রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দূর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর অবস্থা তৃতীয়। এদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই কুমিল্লা বিআরটিএ অফিস। এখানে গেলেই দেখা মিলে অফিসে আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে দালালরা। আর দালালদের নিয়ন্ত্রণ করেন মাষ্টার রোলে চাকুরীরত মজিবুর রহমান ও শাহাজাদা টিপু। এবিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে সংবাদটি বন্ধ করার চেষ্টা চালায় তারা। বিআরটিএ এর দালালদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন বিকাশ, হানিফ, রাজু, কাদেরসহ অন্যান্যরা।
পরিবহনের লাইস্যান্সের সহজে পাওয়ার আশায় সেবা গ্রহীতারা দালালদের কথামত কাজ করে থাকে। দালালরা অফিসে উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অল্প সময়ে তৈরি করে বিভিন্ন গাড়ির লাইস্যান্স, ড্রাইভিং লাইস্যান্স, ফিটনেস এর কাগজ পত্র। টাকা হলে প্রয়োজন হয়না কোন ধরনের পরিক্ষা। ডোপ ট্যাস্টের পজেটিভ রিপোর্ট মিলে হাসপাতালে না যেয়ে। এসকল সুযোগ সুবিধা নিতে সেবা গ্রহীতাদের গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। কখনো কখনো টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় দালালরা। একটি সিএনজির লাইস্যান্স করতে সরকারি খরচ ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা তবে দালালের মাধ্যমে করতে লাগবে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে মাষ্টার রোলে চাকুরীরত মুজিবুর রহমানের কাছে জিজ্ঞেস করলে ওনি সব অস্বীকার করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, বিআরটিএ তে ঘুস আর দালাল ছাড়া কিছু হয় না।
আরেকজন ভুক্তভোগী জানান, ৩ হাজার টাকা লাইসেন্স নিচ্ছে ৯ হাজার টাকা। এবং প্রতি পরিক্ষার জন্য নিচ্ছে ১ হাজার টাকা। যদি টাকা না দিই তাহলে পরিক্ষায় পাস করলেও ফেল করায় দেয় তারা।
বিআরটিএ সাথে প্রায় ২০ বছর ধরে জড়িত তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানালেন টাকা দিলে এখানে বৈধ অবৈধ সব ধরনের কজ করানো সম্ভব।
কুমিল্লা বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক পারকন চৌধুরী বলেন, দালাল সব জায়গাতেই আছে। দালালদের নির্মূল করতে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে কোন কর্মকর্তা এধরণের দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কথা আমার জানা নেই।
সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, দেশের অর্থনীতিতে পরিবহন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এধরণের অবৈধ কার্যক্রমের কারনে দেশের অর্থনীতি ক্ষতির সম্মূখ্যীন হতে পারে বলে। মনে করছেন সুশীল সমাজ।
Array