• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • ভারতে সন্ত্রাসের আরেক নাম গেরুয়া 

     বার্তা কক্ষ 
    22nd Jan 2025 2:51 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, কলকাতা: মক্কি মসজিদ বা সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মনে আছে? কে ঘটিয়েছিল এই বিস্ফোরণ? আর এস এসের নেত্রী সাধ্বী ও কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার যারা ছিলেন আর এস এসের । মুম্বাই বিস্ফোরণের সময় পুলিসের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসার হেমন্ত কারাকারকে কারা খুন করেছিল? সেই সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা। এ সম্পর্কে মুম্বাই পুলিসের প্রাক্তন আইজি এস এম মুসরিফের “‘Who killed Hemanta Karakar’ ও ‘আর এস এস সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন” পুস্তকে সুন্দর দেওয়া আছে। আর তখন থেকেই প্রমাণিত হয়েছে সন্ত্রাসের আরেক নাম গেরুয়া। তারপরেও আমরা দেখলাম মুক্তমনা প্রগতিশীল গোবিন্দ পানসারে, নরেন্দ্র দাভোলকর, কালবুর্গী বা গৌরী লঙ্কেশরা কীভাবে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের দ্বারা খুন হলেন। এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না দলিত সন্তানরাও। রোহিত ভেমুলা তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত

    । গোটা উত্তরভারত বা উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের কীভাবে মবলিঞ্চিং বা নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। এতো গেল সর্বভারতীয় দিক।
    আর এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি মুর্শিদাবাদে কী ঘটছে। ঘটনার সূত্রপাত বেলডাঙার কার্তিক লড়াইয়ে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগকে। ঐ ঘটনায় সায়ন হালদার ধরা পড়লেও ষড়যন্ত্রের জাল কিন্তু খুব গভীরে। এই সায়ন কিন্তু কার্তিক মহারাজ বা ভরতনাথ ঝাওয়ারদের মোটিভেটেড। আর নিমতিতার ঘটনা কী প্রমাণ করছে? বহরমপুরে তার আগে জেলা বইমেলায় কারা উত্তেজনা তৈরি করল ? ইতিহাস কি ক্ষমা করবে এদের ?
    মাদ্রাসাগুলোতে সন্ত্রাসবাদ তৈরির কথা বলা হয়। বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ।

    তারপরে তিনি মহাকরণে মুসলিম নেতাদের নিয়ে একটা বৈঠক করেছিলেন। বলেছিলেন , সব মাদ্রাসার ক্ষেত্রে নয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে দু-একটা মাদ্রাসার কথা বললেও ২০০১ সালে একটারও শ্বেততালিকা প্রকাশ করতে পারেননি। সরকারি মাদ্রাসার ২৪ শতাংশ পড়ুয়া হিন্দু সমাজের। সেখানে এসসি/এসটি কোটা রয়েছে। ঐ বছর ৯/১১ ঘটেছিল। নিউয়র্কের টু-ইন টাওয়ার ধ্বংস হয়েছিল। পৃথিবী ব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একটি তত্ত্ব ছড়িয়েছিল। তা হল , ইসলাম-মুসলমান-সন্ত্রাসবাদী সমার্থক। আরো ছড়িয়েছিল ‘Islam in danger , danger in Islam’. কিন্তু প্রমাণিত হয়েছিল টু-ইন টাওয়ার ধ্বংসের পিছনে লাদেন বা মুসলিমদের কোনো হাত ছিল না। এখানে হাত ছিল সিআইএ ও মোসাদের। ছিল পরিকল্পিত ছক। সেই তত্ত্ব ভারতে ছড়িয়েছিল আর এস এস , বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার । বর্ধমানে খাগড়াগড় ঘটনা ছিল রাজনৈতিক। সেখান সিমুলিয়া মাদ্রাসা বা মুর্শিদাবাদের লালগোলার মকিমনগর মাদ্রাসার বিষয়গুলো নিস্তেজ। বরং পশ্চিমবঙ্গে আর এস এস তার শাখা সংগঠন বাড়িয়েছে সাংঘাতিকভাবে । আর এস এসের অন্যতম মহিলা সংগঠন দূর্গা বাহিনী দুই ২৪ পরগণার সুন্দরবন এলাকাতে তারা খুব সক্রিয়। দ্বীপাঞ্চলে তাদের ভয়ঙ্কর প্রশিক্ষণ শিবির চলে । পশ্চিমবঙ্গে আর এস এসের শাখা ও তার অঙ্গ সংগঠন ২০১১ সাল থেকে বেড়েই চলেছে। এদের প্রশিক্ষণ ভয়ঙ্কর। এদের প্রশিক্ষণে এই তালিমটাই বিশেষ গুরুত্ব পায় যে, গোপন বিস্ফোরণ ঘটাও। বলির পাঁঠা করা হোক মুসলিমদের। মুর্শিদাবাদের সুতি থানার নিমতিতা স্টেশনে রেললাইনে বোমা রাখতে গিয়ে সংঘ ঘনিষ্ট মদন দাস ও সাগর দাস ধরা পড়ে গেলে বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু দু-একটা বাদ দিলে কলকাতার টিভি চ্যানেলগুলো ও প্রথম সারির দৈনিক গুলো তো নীরব। মাদ্রাসা-মসজিদগুলো যদি সন্ত্রাসবাদের কারখানা হবে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অফিসের গায়েই তো মসজিদ। কেউ বলতে পারবে কি যে, সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ হচ্ছে? এখন আর এস এস -বিজেপি নতুন ট্রেন্ড তৈরি করেছে। তা হল, প্রতিটি মসজিদের নীচে শিবলিঙ্গ ও মন্দির ছিল। আর কারণে-অকারণে মুসলিমদের আল্লাহকে নিয়ে কুরুচিকর ভাষ্য তৈরি করে গণ্ডগোল পাকানো। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কার্তিক মহারাজ বা বহরমপুরের ছত্রপতি শিবাজি ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশন তার জ্বলন্ত উদাহরণ । আর সর্বশেষ মডেল নিমতিতা। তাহলে তো দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসের আরেক নাম গেরুয়া। কারা করেছে গুজরাট গণহত্যা?নেলি- ভাগলপুর-সুরাট-আহমেদাবাদ-মুজফফরনগর কারা করেছে? তবে ভারতে রয়েছে একটা ধর্মনিরপেক্ষতার সাধনা। তাই প্রগতিশীলরা এইসব ঘটনায় রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল হন।

    ( লেখক কলকাতার বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, দৈনিক কালান্তর পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার, কলামিস্ট, বহু আলোচিত গ্রন্থের লেখক )

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    January 2025
    M T W T F S S
     12345
    6789101112
    13141516171819
    20212223242526
    2728293031